শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

২৪ বছর ধরে বিনাবেতনে পাঠদান বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে আলিপুর দাখিল মাদরাসা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
বছরের পাঁচমাস জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আলিপুর দাখিল মাদ্রাসা। অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে মাদ্রাসার মাঠ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এ বছর বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না হলে মাদ্রাসাটির বেহাল দশা দূর হবেনা।

এদিকে বিনা বেতনে প্রায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ১৯৬৭ সালে উপজেলা সদর হতে ২৪ কিমি দূরে আলীপুর গ্রামে মরহুম আব্দুল কাদের মুন্সি ও তার ছোট ভাই মরহুম ইব্রাহীম আদ্হাম অবহেলিত এ জনপদে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে নিজেদের দান করা এক একর জমির ওপর মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে এবতেদায়ী পরে দাখিল পর্যন্ত পাঠদান শুরু হয়। খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলতে চলতে ১৯৯৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় ওই দাখিল মাদ্রাসা। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এলে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল কুদ্দুুসের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭০জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন এবং প্রতি বছরই ফলাফল ভাল হচ্ছে।

মাদরাসার সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, বছরের ৫ মাস এই প্রতিষ্ঠানে পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয় কষ্টসাধ্য। মাঠে এখনও একমাজা পানি। আশা ছিলো গত বছর আমাদের মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত হবে কিন্তু হয়নি। স্থানীয় এমপি আব্দুল কুদ্দুস মাঝেমধ্যে টিআর এর অনুদান দিলেও তাতে মাদ্রাসা চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। এভাবে বিনা বেতনে মাদ্রাসা চালাতে গিয়ে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাটির ফলাফল ভাল হলেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ২৪ বছর ধরে শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন পান না। তারা বেকারগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তারওপর বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা। এতে মাদ্রাসা চালানো কঠিন হচ্ছে।

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ আলম মাস্টার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পায় না। অন্ততপক্ষে জলাবদ্ধতা দূর করে একটা বিল্ডিং করে দিলে প্রতিষ্ঠানটি টিকে রাখা সম্ভব হতো।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।