রবিবার , ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২২শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঠাকুরগাঁওয়ে ইট ভাটা হওয়াই কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০

মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২১ নং ঢোলার হাট ইউনিয়নে বড়দেশ্বরীতে কে এম ব্রিক্স এন্ড কে এস ব্রিক্স এলাকার আশে পাশের কৃষি জমিসহ করলা, লাউ, বেগুন সহ বিভিন্ন কৃষি মাট পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মনজুর আলম সরকার।জানা যায়, বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী এবং ওই এলাকার ৬০ জন কৃষক কতৃক স্বাক্ষরিত কৃষি জমিতে পরিবেশ ক্ষতিকর ইট ভাটা উচ্ছেদ করার জন্য গত ১১ নভেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করেন।

 

তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১০ মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সরোজমিন পরিদর্শনে আসেন এবং স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকদের কাছ থেকে ইট ভাটার কারণে কি কি ¶তি হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন লিখিত আকারে নোট করে নেন। পরিশেষে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষকদের মাঝে বলেন, আজকে আমি কৃষি মন্ত্রনালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর নির্দেশ ক্রমে সরোজমিনে পরিদর্শন করতে এসে আপনাদের বক্তব্যগুলো লিখিত আকারে কৃষি মন্ত্রনালয়ে দাখিল করবো।স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ইট ভাটা স্থাপনের আগে আমার মাটিতে ২৫/৩০ মন করলা হত।

 

কিন্তু এখন ইট ভাটা স্থাপনের ফলে ৮/১০ মন করলা হয়। এ ছাড়াও অন্যান্য ফসলেরও ¶তি হয়। বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই ভাটার কারনে এলাকার আম, লিচু, কুল, কাঠাল এর ফুল ঝরে যায় ফলন হয় না। যেখানে বাগান হতে ৪/৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যেত সেখানে এখন অর্ধেকও পাওয়া যায় না। ভাটার পাশে প্রায় ২শত একর জমিতে লাউ, করলা, বেগুন, শশা, চিচিংগা, কুমড়া সহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ হয়। তিনি আরো বলেন, আমার চা বাগানেরও ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কারনে আমার জমির উর্বরাশক্তি কমে গেছে। আমাদের একটাই দাবী ভাটাটিকে এখান থেকে উচ্ছেদ করা হোক।পরিদর্শনের সময় অন্যাদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসার সুভোদ চন্দ্র রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, ২১ নং ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হামিদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কৃষক এবং বঙ্গবন্ধু পদক প্রাপ্ত পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ মেহেদী আহসান উল্লাহ চৌধুরীসহ উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক গন।

তদন্তের সময় ইট ভাটার মালিক মোশারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। তার বড় ভাই সলেমান আলী উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোঃ মনজুর আলম সরকার সলেমান আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি লিখিত বা মৌখিক কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।