শনিবার , ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি দিতে হবে না

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

  • বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারি–
  • আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও চলবে।
  • কিস্তি না দিলে ব্যাংক ঋণ খেলাপি করে দেবে না।
  • ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না।
  • কেউ ঋণ শোধ করে নিয়মিত গ্রাহক হলে খেলাপির তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঋণ খেলাপি হওয়া ঠেকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না দিলেও চলবে। কিস্তি না দিলে কেউ ঋণ খেলাপি করে দেবে না। আবার এই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপও করা যাবে না। তবে যদি কেউ ঋণ শোধ করে নিয়মিত গ্রাহক হন, তাঁকে খেলাপি গ্রাহকের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, আজ এই সুযোগ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ে কেউ কিস্তি শোধ দিলে ওই গ্রাহককে সুদ ছাড় দিতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণ খেলাপি হওয়া কমে গেছে। আবার কিস্তি আদায় না হওয়ায় অনেক ব্যাংকের টাকা আটকেও গেছে। তবে এ সুযোগের পরেও ভালো গ্রাহকেরা নিয়মিত কিস্তি শোধ করে যাচ্ছেন।

করোনার কারণে ঋণ পরিশোধে ছাড়

বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে ১ জানুয়ারিতে ঋণের শ্রেণি মান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই ঋণ এর চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণি মান উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণীকরণ করা যাবে। চলমান ও তলবি ঋণের মেয়াদ বিদ্যমান মেয়াদ থেকে ১২ মাস অথবা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ওই সময়ে আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিদ্যমান মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি বছরে প্রদেয় কিস্তিগুলো বিলম্ব হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে ওই ঋণের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে। পুনর্নির্ধারণকালে চলতি বছরে যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল, তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চলতি বছরে কোনো কিস্তি পরিশোধিত না হলেও ওই কিস্তিগুলোর জন্য মেয়াদি ঋণগ্রহীতা কিস্তি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

এই সুবিধা চলাকালীন ঋণের ওপর সুদ আরোপের ক্ষেত্রে অন্য নীতিমালা বলবৎ থাকবে। ফলে পুনঃ তফসীলকরণ, এককালীন শোধসহ যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিনিষেধ রয়েছে, সেসব ঋণের বিপরীতে নগদ আদায় ছাড়া আরোপিত সুদ ব্যাংকগুলো আয় খাতে নিতে পারবে না। ওই সময়ে ঋণের ওপর কোনো ধরনের দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করতে পারবে না।

কোনো গ্রাহকের এসব সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজন না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধসূচি অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধ করা যাবে।

এই সময়ের সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গত এপ্রিলে ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, জুন পর্যন্ত কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণি মানে কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এরপর তার মেয়াদ বাড়িয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। আজ এই সুযোগের মেয়াদ বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৯৬ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯২ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। এর আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।