জিয়াউল হক জিয়া চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
কক্সবাজার সদর ভারুয়াখালী ইউনিয়নের মশারফ পাড়া গ্রামে জামাইয়ের হাতে ছুরিকাঘাতে শশুর মৃত্যুর একদিন পর শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে,। বিগত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১.৩০ মিঃ মেয়ের জামাই মিজান তার শাশুড়ি ও শ্বশুর দুইজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ঐদিন ঘটনা স্পটে খুনি মিজানের শশুর নুর কবিরের মৃত্যু হয়। শাশুড়ি নুরজাহানকে মর্মান্তিক অবস্থা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচটার সময় মরহুম নুর কবিরে জানাজার নামাজ আদায় শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাপন করা হয়।ঘটনার পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে শাশুড়ি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে । শেষ পর্যন্ত জামাইয়ের হাতে ছুরিকাঘাতে শশুর ও শাশুড়ি দুজন মৃত্যু হয়েছে। সরোজমিনে ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, ছুরিকাঘাতে নিহতের নাম নুর কবির। নুর কবিরের মেয়ে জেরিন আক্তার বানিয়াপাড়া আমির হোসেন ছেলে প্রবাসী মিজানুর রহমানের সাথে দুই বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বর্ণ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়।
উক্ত ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জেরিন বাপের বাড়িতে চলে যায়। জেরিন বিগত ছয় মাস ধরে বাপের বাড়িতে ছিল। বাপের বাড়িতে থাকার কারণবশত চেয়ারম্যানের কাছে বিচারাধীন বলেও জানা যায়। দফায় দফায় বিচারের জন্য কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। বিগত ১৫/২০ দিন ধরে ঘাতক মিজান শ্বশুরবাড়ির সকলকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।গেল রাত আনুমানিক আনুমানিক রাত ১:৩০ মিনিটে মিজান তার শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে স্ত্রী জেরিনের রুমের মধ্যে ঢুকে পড়ে জেরিন ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে চিৎকার করলে জেরিনের মা-বাবা উঠে দেখতে পাই জেরিনের রুমের দরজা বন্ধ এবং রুমের ভীতর চিৎকার করছে। মা-বাবা দরজা ধাক্কাধাক্কি করে দরজা ভেঙ্গে রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লে মিজান ধারালো ছুরি দিয়ে পরপর প্রথম শাশুড়ি নুরজাহানকে এরপর শ্বশুর নুর কবিরকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। তখন দুজন ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। মিজান তার বউ বা জেরিনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে চাইলে সে চিৎকার করলে স্থানীয় পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসে তখন ঘাতক মিজান পালিয়ে যাই। এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে রাত ২টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে নুর কবিরকে মৃত ঘোষণা করে এবং নুরজাহানকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়। ঘটনা স্থানে সকাল ৯টা দিকে ঈদগাহ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসআই মহিউদ্দিন ও এস আই দীপঙ্কর সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সত্যতা উদঘাটন করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঈদগাহ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইসি মহোদয় ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ঘটনাস্থলে পুলিশের সাথে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম মেম্বার সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ঈদগাহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র খুনি মিজান কে ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
#CBALO/আপন ইসলাম