রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিরাজগঞ্জে যমুনা ব্যাপক ভাঙ্গন শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

মৌসুমী বায়ূর প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে বসত-ভিটা, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয়রা নদী ভাঙ্গন আতংকে রয়েছেন। হুমকীর মুখে রয়েছে এনায়েতপুর কাপড়ের হাট, খাঁজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রসা, স্কুল সহ বহু স্থাপনা। ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ বসত-বাড়ি ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য এনায়েতপুরে স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য ৬শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। প্রকল্প বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরে চার দফা বন্যার পর যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করে। হঠাৎ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এনায়েতপুরে শুরু হয় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন।

 

গত দুই দিনে শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ, মাদ্রসা নদী গর্ভে বিলী হয়ে যায়। অনেকে কিছুই সরাতে পারেনি। মুহুর্তের মধ্যে নদীতে ধসে পড়ে তাদের বসতবাড়ি। অব্যাহত ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে এনায়েতপুরের ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে চৌহালী উপজেলাধীন দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর কাপড়ের হাট, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সি ইন্সটিটিউট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বহু তাঁত কারখানাসহ হাট বাজার যমুনার অদূরে রয়েছে। আতংকে দিন কাটাচ্ছে যমুনা পারের মানুষ। সহায় সম্বল হারিয়ে নি:শ্ব এসব মানুষ এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে অনশন পালন করেন স্থানীয় দুই বৃদ্ধ। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছে দ্রুত বাঁধ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বৃদ্ধের অনশন ভঙ্গ করান। সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ও পাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

 

পানি বৃদ্ধির সময় ভাঙন ঠেকাতে জরুরি কিছু কাজ করা হলেও স্থায়ী কাজের অভাবে এখন হুমকির মুখে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা। দ্রুত কাজ করা না হলে অস্তিত্ব বিলীন হবে বৃহত্তম একটি জনপদের। স্থানীয় ইয়াসিন প্রামানিক বলেন, ৮০ বছরের জিন্দিগিতে ৭ বার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছি। ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। ভাঙ্গরোধে স্থায়ী বাঁধ চাই। বাঁধ নির্মানের দাবীতে অনশনে বসেছিলাম। পানি উন্নয়নের কর্মকর্তারা বাঁধ নির্মানের আশ্বাস দিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন জানাই নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে এনায়েতপুরকে রক্ষার করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজীপুরের পাটাগ্রাম এবং এনায়েতপুরের ব্রাক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত। এই দুটি স্থানে ভাঙ্গন রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে সাড়ে ১১শ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি শুস্ক মৌসুমে স্থায়ী কাজ শুরু করতে পারবো।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।