স্টাফ রিপোর্টার:
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে নিজের দোকানে নিজেই আগুন দিলেন প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ দোকান ঘরে কেরসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নে কাছারি বাজার এলাকায়। এতে ভুক্তভোগী পরিবারটি চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার সাবেক পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন ও প্রতিবেশী মরহুম সেবাবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বর্তমানে জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে আঙ্গুর তার লোকজন নিয়ে বন্ধ দোকান ঘরে নিজেই আগুন লাগিয়ে দোকানের পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। বাহিরে গিয়ে পুলিশকে মোবাইল ফোনে আগুন লাগানোর সংবাদ দিলে, লালমনিরহাট জেলা কালিগঞ্জ থানার,কাকিনা ইউনিয়নের দায়িত্ব থাকা উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই সাইদুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগণের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় উত্তেজিত হওয়া জনসাধারণ আনোয়ার হোসেন এবং তার ছেলের শাস্তি দাবি করেন। উপস্থিতি লোকজন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান- খালেকুজ্জামান হেলাল জানায়, কাছারি বাজারের বাসিন্দা সে বাবুর রহমান(১৯৪৭) সালের পর থেকে কাছারি বাজার বর্তমান ভোগদখলীয় জমিতে বাড়ি করে আছেন। প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেনের চাকরির সুবাদে কাকিনায় সেবাবুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সে সুবাদে সেবাবুর রহমানের খুঁটিনাটি জেনে ফেলে। পরবর্তীতে সুচতুর আনোয়ার সেবাবুরে এই জমির উপর লোভ পরে। পরে চাতুরী করে ওই জমির অর্ধেক অংশ খাসজমি দেখিয়ে নিজ নামে করে নেয়। এবং গোপনে মোকদ্দমা করে একতরফা রায় ও উচ্ছেদের মাধ্যমে দখল নেয়। এ দেখে এলাকাবাসী হতভম্ব। সেবাবুর রহমান এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে পূর্বেকার রায় বাতিল করে দেয় আদালত। পাল্টা-পাল্টি মামলা মোকদ্দমা চলতে থাকে। এর এক পর্যায়ে আদালত ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তারপরেও আনোয়ারের লোকজন জমির উপর দোকানঘর মেরামত করতে থাকে।এতে সেবাবুর রহমানের ছেলে জিন্না বাধা দিলে আবারো সংঘাতে জড়িয়ে যায়। আগুন লাগানোর দোকানের সামনে দোকানদার বাইজিত হোমিও ডাক্তার বলেন, সকালে দোকান খোলা ছিল আনোয়ারের জামাই মমিনুর দোকান খুলে ঘন্টাখানেক পর বন্ধ করে।তার কিছুক্ষণ পরে আনোয়ার চাচা, আঙ্গুর সহ বেশ কয়েকজন দোকানে পেছনে গেলে আগুন লেগে যায়। দোকানের সামনে ঝাঁপ বন্ধ থাকায় উপরের টিন না থাকায় ধোঁয়া উঠতে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশ আসে। পুলিশ ও আশেপাশের দোকানদার মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন গত ১১ সেপ্টেম্বর হামলা, ছিনতাই ও ১৫ সেপ্টেম্বর অনধিকার প্রবেশ, হুমকি সহ নানান কারণে আদালতে মামলা করেন। এ বেপারে সেবাবুর রহমানের ছেলে জিন্না বলেন, আনোয়ার অর্থ ও প্রভাবশালী হওয়া একটির পর একটি মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। মামলা হামলার কারণে আমার বাবা মারা যান। তিনি ক্ষমতার দাপটে আমার বৈধ জমি বেদখল করে নিচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই বিচার চাই।
এ বিষয়ে আনোয়ার বলেন, আমি মামলা করে জমি পেয়েছি এবং পেয়াদা এসে যখন বোঝে দিয়েছে। সে জমিতে আমি দোকান নির্মাণ করি। তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে এ জন্য মামলা করি। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা কালিগঞ্জ থানা- উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই সাইদুর ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি জনগণের সহযোগিতা আগুন নেভানো হয়েছে।
#CBALO/আপন ইসলাম