রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিংড়ায় কচুরী পানা আটকে জলাবব্ধতা ; ২ হাজার একর রোপা ধান ডুবে যাওয়ার আশংকা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 মোঃ এনামুল হক বাদশা,সিংড়া (নাটোর)প্রতিনিধিঃ

নাটোরের সিংড়ায় বর্ষার পানি নাগর নদী দিয়ে নেমে আসার পথে প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিশাল কচুরী পানার স্তুপ আটকে চলমান পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন ব্রীজে গত এক সপ্তাহ ধরে কচুরী পানার এই বিশাল স্তুপ আটকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষ কোন পদক্ষেপ নেননি বলে এলাকা বাসীর দাবি । এদিকে গত কয়েক দিন ধরে নদীর পানি নামতে না পারায় তাজপুর এবং পাশের ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের মাঠের বর্ষাকালীন প্রায় ২ হাজার একর জমির রোপা ধান পানিতে ডুবে যাওয়ার আশংকা করছেন ওই এলাকার কৃষক। এছাড়া ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীর নদীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় তাজপুর ব্রীজও ঝুকির মধ্যে রয়েছে। রবিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তাজপুর ব্রীজে আটকে থাকা কচুরী পানা পরিষ্কার করছেন ৫০ থেকে ৬০জন শ্রমিক। শ্রমিকরা জানান বিপদের মুখে বাধ্য হয়েই তাজপুর,খড়সতি,নওগাঁ,চক নওগাঁ,জয়নগর চক তাজপুর ভাদুরী পাড়া,কমরপুর মাহমুদপুর গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে গত ২ দিন ধরে এই কচুরী পানা সরিয়ে কিছুটা হলেও নদী পথে পানি নেমে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

 

তাজপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রহিদুল ইসলাম বলেন,আমি ২০ দিন আগে আমার ৭ বিঘা জমিতে চৌত্রিশ ধান রোপন করেছি। কিন্তু মাঠের পানি ফুসে উঠায় আমার সব জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। স্থানীয় হাফিজুর রহমান,নাজমুল হাসান সহ আরও কয়েকজন কৃষক জানান নদীর পানি বাধাগ্রস্থ হয়ে প্রতিদিন মাঠে যে ভাবে পানি বাড়ছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মাঠের ফসলের পাশা পাশি এই এলাকার বাড়ি ঘরও পানিতে তলিয়ে যাবে। তাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভপতি ঠিকাদার আব্দুল জোব্বার বলেন, নাগর নদীর প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট নদীর গভীর পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে গেছে এই কচুরী পানা আটকে থাকায়। কচুরী পানার স্তুপ এতো শক্ত যে এর উপর দিয়ে মানুষ হাটা চলা করতে পারছে। আমি প্রতমিন্ত্রী আলহাজ এড জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশে গত ২ দিন ধরে ৫ গ্রাম থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে কচুরী পানা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিনহাজ উদ্দিন বলেন, তাৎক্ষনিক ভাবে আমি প্রতমিন্ত্রীর কাছে এব্যাপারে কথা বলেছি,ভিডিও ও ছবি পাঠিয়েছি। মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে যাতে জনসাধারনের কোন অসুবিধার সৃষ্টি না হয়।

 

এই কচুরী পানা আটকে থাকায় তাজপুর ব্রীজও হুমকির মধ্যে রয়েছে। আসলে শ্রমিক দিয়ে এটা সম্ভব নয়। নদীর স্রোতের গতিপথ বিপরীত দিকে পরিবর্তন হলে অথার্ৎ স্রোতের দিকের পরির্বতন হলে প্রাকৃতিক ভাবে এটা এমনিতেই সরে যাবে। তার পরও যতটুকু সম্ভব এই কচুরী পানা সরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা পানি উন্নয়ন কর্মকতা মোঃ আবু রায়হান মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন,নদী থেকে কচুরী পানি সরানোর দায়িত্ব আমাদের নয়। কচুরী পানা থেকে নদীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না ? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি ওখানে লোক পাঠাবো তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখবে বিষয়টি যদি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।