সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ ভোগান্তি দূর হল ২০ হাজার মানুষের

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মুহাইমিনুল (হৃদয়) টাংগাইল সংবাদদাতা :
এপারে ভূঞাপুর-ওপারে কালিহাতী। দুই উপজেলার উত্তরপ্রান্তে আমুলা দহ ভরাট-দিঘীকাতুলী, জাবড়াজান গ্রামের সংযোগ রাস্তা।
প্রায় ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই রাস্তা। বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়। ভাঙন রাস্তায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করতে শতাধিক শ্রমিক সেচ্ছাশ্রমে ২ দিন কজ করে নির্মান করেন এই সাঁকো। এ সাঁকোতে দুই পাড়ের মানুষদের যাতায়াতে সাময়িক সুবিধায় সৃষ্টি হয়ে আবারও মেলবন্ধন। ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের মাঝে স্বস্তির নিশ্বাস। উপজেলার মানুষদের মেলবন্ধনে এ রাস্তা ছাড়া কোন বিকল্প রাস্তা নেই। আবার রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট খাল। এটা যুক্ত হয়েছে ধলেশ্বরী নদীতে। সড়ক দিয়ে দুই প্রান্তের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য মসজিদ, মন্দির ও সরকারি-বেসরকারীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সম্প্রতি টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি কয়েক দফায় বৃদ্ধিতে ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলাসহ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এতে করে নিমাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে অনেক এলাকার রাস্তা-ঘাট ও ব্র্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যায়। এর ফলে মানুষদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বছর ভয়াবহ বন্যায় ভাঙনের কবলে পড়েন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা দহ ভরাট ও কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের দিঘীকাতুলী-জাবরাজান গ্রামের মানুষ। বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে গেলে দুই উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে পড়ে চরম দুর্ভোগে। শুধু তাই নয়, বিকল্প রাস্তা না থাকায় উভয় পাড়ের সিএনজি, অটো-রিকশা ও ভ্যান চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েন যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায়।
দুই উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ভাঙন রাস্তা মেরামতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগিতা না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তরুণ ও যুবক সমাজ টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনিরকে মুঠোফোন অবগত করেন। পরে এমপির আশ্বাসে ও তার অর্থায়নে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু’র সহযোগিতায় প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেয় সাংসদ ছোট মনির।
জানা গেছে, ভাঙন রাস্তায় প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো নির্মাণ ব্যয় ৪৫ হাজার টাকা, শতাধিক শ্রমিক ও সেচ্ছাশ্রমে এলাকার তরুণ ও যুবকরা ২ দিনে নির্মাণ করতে সক্ষম হয়। এতে করে পূর্বের মতো দুই উপজেলার মানুষের মাঝে দীর্ঘ ১ মাস পর স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ বিষয়ে আমুলা দহ ভরাট গ্রামের সেচ্ছাসেবী যুবক মো. শরীফ ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম বলেন- ‘বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যায়। ফলে আমাদের কয়েক গ্রামের মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে এমপি মহোদয়কে অবগত করলে দ্রত সময়ে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন। এ জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এমপি মহোদয় ও ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু ভাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাস্তাটি পাকাসহ বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজে নির্মাণের দাবি জানান।’
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু জানান- ‘ভাঙন কবলিত ওই আমুলা দহ ভরাট ও দিঘীকাতুলী রাস্তার দুই উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল। তা বন্যায় ভেঙে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়রা রাস্তায় ব্যাপারে জননেতা ছোট মনির এমপিকে জানান। পরে এমপি’র নির্দেশে ও তার অর্থায়নে মানুষদের যাতায়াতের সুবিধায় উপজেলার আমুলা দহ ভরাট এলাকায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।’
#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।