শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

হাওরে স্বপ্নের উড়াল সড়ক

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সুনামগঞ্জের বিচ্ছিন্ন হাওর এলাকায় হচ্ছে স্বপ্নের উড়াল সড়ক। হাওরের ভেতর দিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত যাবে এই উড়াল সড়ক। প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই দৃষ্টিনন্দন সড়ক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। উড়াল সড়ক ছাড়াও সমস্ত হাওর এলাকাজুড়ে আরও ১০৭ কিলোমিটার নান্দনিক সড়ক নির্মাণ করা হবে। থাকবে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুবন্ত সড়কও। পানিসহনীয় সড়কটি বর্ষায় ডুবে থাকলেও শুস্ক মৌসুমে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এছাড়া উপজেলা সাবমারসিবল সড়ক হবে ১৩ কিলোমিটার। অল সিজন ইউনিয়ন সড়ক হবে ১৫ কিলোমিটার। উপজেলা সড়কে ২ হাজার ৯৮৭ মিটার ও ইউনিয়ন সড়কে ৬৮৫ মিটার সেতু নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন সড়কে থাকবে ৭৭৫ মিটার কালভার্ট। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পযর্ন্ত।

 

এর মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মশালা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দিরাই উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অধীনে আসবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এই মাসেই একনেকে প্রকল্পটি উঠবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, প্রকল্পটিতে অনুমোদন দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, হাওরের প্রকৃতি বিবেচনা করে এমন বিরল উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রস্তাবের কাজ প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা থেকেই এসেছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে এমন পরামর্শ দেওয়ার পর আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাওর অঞ্চল পুরোপুরি ব্যবসা ও পর্যটনের জন্য খুলে যাবে। সহজেই পর্যটকরা সুনামগঞ্জে প্রবেশ করে হাওরের উড়াল সড়ক দিয়ে নেত্রকোণা হয়ে ঢাকা চলে আসতে পারবে। প্রকল্প এলাকার আশেপাশে বেসরকারি উদ্যোক্তারা হোটেল-মোটেল নির্মাণ, হাওরে ঘুরার জন্য নৌকা-স্পিডবোটসহ নানা কিছু করবে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে হাওর অঞ্চল ব্যবসা ও পর্যটনের জন্য পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে।

 

পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে উড়াল সড়কের দুই পাশে কিছু দূর দূর আমরা কিছু ‘ইয়ূথ হোস্টেল’ করে দেব। টিনসেডের বাংলো টাইপের হোস্টেল। হাওরে দেখতেও সুন্দর লাগবে। পরিষ্কার পানি ও রান্নাবান্নার ব্যবস্থা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা হাওরের উড়াল সড়কে ঘুরতে আসবে। হাওরের বাউরি বাতাসে অবগাহন করবে তারা। তিনি বলেন, পর্যটকরা (নারী-পুরুষরা) এসব ইয়ুথ হোস্টেলে আলাদাভাবে থাকবে। নিজেরা রান্না করে খাবে। তাদের কাছ থেকে অল্প টাকা রাখা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সুনামগঞ্জ এতদিন কুমারি ছিল। সম্পদ ও সম্ভাবনা থাকলেও সুযোগের অভাবে সুনামগঞ্জকে ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। তাই এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সময় এসেছে উন্নয়নের। আমরা এখন সুনামগঞ্জকে খুলে দিতে চাই। যাতে সারা দেশ এখানে প্রবেশের সুযোগ পায়। ব্যবসা-বাণিজ্য পর্যটন সম্প্রসারণ হয়।

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।