শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ভুয়া যৌতুকের মামলার শিকার ৮০ শতাংশই পুরুষ: গবেষণা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে হাতিয়ার হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে যার ৮০ শতাংশই মিথ্যা বলে বিভিন্ন গবেষণা তথ্যে ওঠে এসেছে। আর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেসব মামলা দায়ের করা হয়, তার ৮০ শতাংশই যৌতুকের দাবিতে। একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আলমগীর হোসেন, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া না হওয়ায় বিয়ের ৯ মাসের মাথায় ২৮ জুনে স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ পাঠান। কিন্তু ১ মাস পর তার সাবেক স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও ৫ লাখ টাকা দাবিতে যৌতুকের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় মামলা করেন। এই ধারায় সাধারণ জখমের জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর সাজার বিধান আছে। ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন দাবি করে বলেন, বিয়ের সময় নগদ মোহরানা দিয়েছি। অথচ এখন বলছে দেইনি। আমি ডিবোর্স চেয়েছিলাম তাই এমন মামলা।

 

আমাদের পরিবারের কেউই নির্যাতন করেনি, যৌতুকও চাইনি।” সারাদেশে ৯৫ টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মধ্যে যৌতুকের মামলায় বেশি। ভিত্তিহীন মামলা জট ও হয়রানি কমাতে যৌতুকের সাধারণ মামলাগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে যৌতুক নিরোধ আইন কিংবা পারিবারিক আইনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী জানান, আইনজীবিদের কাছে অভিযোগকারীরা পরামর্শ নেওয়ার জন্য আসে, কোন সেকশন না পেয়ে তখন কিছু আইনজীবি যৌতুকের মামলা দিয়ে দেয়, এটা ঠিক না। কিছু ঘটনা সত্যি হলেও অনেকেই রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মামলা দিয়ে থাক। এই বিষয়ে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফৌজিয়া করিম জানান, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যৌতকের মামলা হচ্ছে তবে সেটা আসলেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেনি।

 

হয়তো অন্যকোন বিষয় আছে। আসলে বিচার পাওয়ার জন্য কেউ আসে না, মামলা হলেই যে ৩ মাস গ্রেফতার হওয়ার সুযোগ থাকে সেটাকেই প্রতিশোধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, অপরাধ প্রমাণের আগেই গ্রেফতারের সুযোগ থাকায় বাড়ছে এই ধারার অপব্যবহার। সহকারী এটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ মাহমুদ বাশার বলেন, এই আইনে মামলা তদন্ত কিংবা বিচারের আগেই গ্রেফতার প্রক্রিয়া যুক্তি সঙ্গত নয়। এসব কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে ১১(গ) ধারার মামলাগুলো যৌতুক নিরোধ আইনে বিচারের পরামর্শ আইনজিবীদের। তবে আইনমন্ত্রী বলছেন মিথ্যা মামলা হলে সাজা হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অন্য ধারাগুলোর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলা যদি প্রমান হয়, তবে পাল্টা শাস্তির ব্যবস্থার আইন আছে। সেই প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। জামিন অযোগ্য হলেও এসব ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে মামলা হলে আদালতে জামিন দেয়ার নজির রয়েছে।

#CBALO/আপন ইসলাম

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।