চলনবিলের আলো বার্তাকক্ষ:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কাঁচা মরিচের মূল্য চড়া” দিশে হারা ক্রেতা সাধারণ। সপ্তাহের ব্যবধানে ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের কেজি প্রতি মূল্য এখন ২৬০-২৮০ টাকা। বিক্রেতারা বন্যা ও আমদানির দোহাই দিলেও দিশেহারা ক্রেতা সাধারণ।
একই সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগও রয়েছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কিছু দিন ধরে টানা বর্ষণে সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ এসেছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।সরবরাহে ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচের দামে এ পরিস্থিতি। এদিকে সরবরাহ সংকটের কথা বলা হলেও ভাঙ্গুড়ার শরৎনগর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ কাঁচা মরিচ দেখা গেছে। তবে দাম বেশি থাকায় মরিচের বেচাকেনা কমেছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারে সরজমিনে গিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৬ থেকে ২৮ টাকায়। অর্থাৎ এই হিসাবে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দাঁড়ায় ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহেও একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪ থেকে ১৬ টাকায়।
উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারে-বাজার করতে এসে গৃহবধূ কামোনা দাস বলেন, বাজারে কোনো কিছুরই দাম কম নেই। এখন কাঁচা মরিচের বাড়তি দামে আমরা দিশে হারা হয়ে পরেছি। কিন্তু বাসায় নানা রকমের রান্নায় কাঁচা মরিচ লাগেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার স্বামী বেশ কয়েক বছর যাবত মারা গেছে প্রতিনিয়ত জিনিস পত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও কিছু করার নাই।বাজারের আরেক ক্রেতা দিনমুজুর বাহাদুর আলী বলেন, কাঁচা মরিচের বাড়তি দামে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাজারের তরকারি ব্যাবসায়ী রায়হান আলী বলেন, পাইকারি বাজারে বাড়লে তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়ে। বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে মরিচ কিনে আনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে সবজি বাজারে ছিল সহজলভ্য, এখন তার সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে।
বাজারের অপর বিক্রেতা রতন আলী বলেন, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। এখন ২৫০গ্রাম মরিচ ৬৫ টাকার (কেজি ২৬০ টাকা) নিচে বিক্রি করলে লোকসান দিতে হবে। পাইকারি বাজার থেকে এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকায় কিনেছি। এরপর যাতায়াত ভাড়া আছে। কেনা দামই পড়েছে কেজি ২২০ টাকা। অন্যান্য খরচ যোগ করলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
এখনও বাজারে তেমন মরিচ নেই। অন্যদিকে দেশে বন্যার কারণে মরিচ উৎপাদন আগেই কমেছে। ফলে বাজারে দেশি মরিচের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি করা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম আবারও কমবে ৷
#CBALO/আপন ইসলাম