মুহাইমিনুল (হৃদয়) টাংগাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে টেপিবাড়ি -ফলদা বাজার রাস্তা মেরামত কাজ সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি চরম মাত্রায় বেড়েছে। এছাড়া কয়েকটিস্থানে সড়ক ধসে গেছে। ফলে দূর্ঘটনা এড়াতে সড়কে লাল নিশানা টানিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে টেপিবাড়ি-ফলদা বাজার রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচ কিলোমিটার সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে যেটুকু কাজ করা হয়েছে সেই রাস্তার ঝনঝনিয়া ও টেপিবাড়ী উত্তরপাড়া মসজিদের কাছে প্রায় ৩০ মিটার রাস্তা কাজ করা হয়নি। এছাড়া রাস্তার দিঘুলিয়া পাড়া হতে ফলদা বাজারের ব্রীজ পর্যন্ত সড়কে খোড়াখুড়ি করে রাখা হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ভূঞাপুর টেপিবাড়ি আরএন্ডএইচ- গোপালপুর ভায়া-ফলদা বাজার ৫ কিলোমিটার ৩৯০ মিটার রাস্তার মেরামতের কাজ পায় নেত্রকোনা জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ হেমায়েত আলী। এতে রাস্তা মেরামতের মূল্য ধরা হয় প্রায় ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। গত বছরের মে মাসে এই রাস্তার মেরামতের কাজ শুরু হয়। রাস্তার দুইপাশে এক ফুট করে বাড়ানো এবং বাড়ানো অংশে ৬ইঞ্চি করে ইটের খোয়া ও পুরনো কার্পেটিং তুলে সেখানে নতুন করে ৪ ইঞ্চি ইটের খোয়া ফেলে রাস্তায় কার্পেটিং করার কথা রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় পরপর দুইবার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাতেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সড়ক সংস্কারে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
টেপিবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের মোরশেদ, মফিজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামতের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু রাস্তার পুরানো কার্পেটিং তুলে খোয়া ব্যবহার না করে সেভাবেই ঢালাই করা হয়েছে। টেপিবাড়ি উত্তরপাড়া মসজিদের কাছে প্রায় ৩০মিটার রাস্তা কাজ করা হয়নি এখনও। ফলে সেটুকুতে যানচলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
ফলদা গ্রামের মোবারক, শরিফুল জানান, এলজিইডি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দূর্নীতির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে। এছাড়া দীর্ঘদিনেও রাস্তার কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে সড়কে যানচলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তবে এবিষয়ে বক্তব্য জানতে ঠিদাকারী প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মির্জা মনিরুজ্জামান জানান, সঠিক নিয়মেই রাস্তার মেরামতের কাজ করা হচ্ছে। মেরামতের কাজে দুইবার সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি রাস্তা কাজ শুরু করা হবে।