বৃহস্পতিবার , ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রায়গঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা ভুতরে বিলে হয়রানীর অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

কে,এম আল আমিন :

আ. মতিন,উপজেলার নিমগাছি বাজারে ছোট্ট দোকানী। আগষ্ট মাসের বিল এসেছে ১৫ ইউনিটের বিপরীতে ৩শ ১৪ টাকা কিন্তু তার ডিমান্ড চার্জ দেখানো হয়েছে ২শ ৭০ টাকা। সঙ্গে ৯০ টাকা মিটার ভাড়া। আবদুল্লাহ সরকার,পেশায় একজন সংবাদকর্মী। তার বাসায় সোলার প্যানেল আছে,তারপরও তার গড় বিদ্যুৎ বিল সর্বোচ্চ ৮০ ইউনিটের উপরে যায়না কিন্তু গত দুই মাস সহ চলতি মাসে ১শ ৪০ ইউনিট দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৬ শ টাকার নিয়মিত বিল এখন ১২শ টাকা, ২শ টাকার নিয়মিত বিলের পরিবর্তে ৬ শ টাকা সহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এখানকার শত শত গ্রাহকদের। অনুসন্ধানে জানা যায়, এভাবে অসংখ্য গ্রাহকের নিকট থেকে করোনা কালীন সময়ে ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল তৈরী করে জনগনকে হয়রানী করা শুরু করেছে স্থানীয় ভুইয়াগাতী জোনাল অফিস। গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, এখানকার ডিজিএমের নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি নাম মাত্র বুজ দিয়ে দেন।তবে তাদের কথা ও কলমের ভেল্কিবাজিতে গ্রাহকরা অতিষ্ট।

 

জানা গেছে, উক্ত পল্লী বিদ্যুতের আওতায় বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করার লক্ষ্যে তারা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এ যাবৎ নতুন পুরাতন প্রতিটি গ্রাহকই বিল নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভুতুরে বিল তৈরি করে গ্রাহকদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন রায়গন্জ,সলঙ্গার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা তাদের বিদ্যুৎ বিল বেশি কেন এমন সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছে অফিসে। কিন্তু কেউই এর সমাধান না দিয়ে তারা বলছেন আগে বিল দিয়ে যান,পরে দেখব। ভুক্তোভোগী আওয়ামীলীগ নেতা আল- মাসুদ বলেন, গত কয়েক মাস দিয়েছি যে বিল, এখন গুনতে হচ্ছে দ্বীগুনেরও বেশি। অফিস তাকে বলছে, আগামী মাস থেকে ঠিক হয়ে যাবে। জামতৈল গ্রামের সুখীতন বেগম বলেন, ৪০/৫০ ইউনিটের জায়গায় ১৬৫ ইউনিট দিয়ে বিল তৈরি করেছে। অভিযোগ দিলাম কিন্তু কিছুই বলে না। গুনগাতী গ্রামের ইসমাইল বলেন, একই বিদ্যুৎ ব্যবহার হলেও গত তিন মাস গুনতে হচ্ছে দ্বীগুন বিল। অফিসে এর কোন সমাধান পাওয়া যায় না।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টেকনিশিয়ান বলেন, যে মিটার গ্রাহক পাচ্ছে এই মিটারগুলোই সমস্যার মুল কারণ। নামে ডিজিটাল হলেও ভিতরে টেকনিক্যাল কারচুপির সিষ্টেম করা আছে যার কারণে গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়ছে। এমন ভুতুরে বিলে কেন এই অঞ্চলের গ্রাহকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুইয়াগাতী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম আঃ কুদ্দুস প্রথমত তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের দেয়া অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।পরে বলেন, কিছু কিছু মিটারে সমস্যা থাকতে পারে, তবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বলেই বিল বেশী আসে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এর জন্য দায়ী নয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।