পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় জালসা থেকে এক কিশোরকে তুলে এনে শিকল দিয়ে বেঁধে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আদাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরের নাম সাগর (১৫), সে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের করিম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাগরের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দৌধুনিয়া গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে সাগর প্রেমিকার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও কিছু স্বর্ণ ও রুপার অলংকার নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অলংকার উদ্ধারের অজুহাতে প্রেমিকার মামারা সাগরকে তুলে এনে আদাবাড়িয়া গ্রামে ওই স্কুল ছাত্রীর নানা মো.শুকুর আলীর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী তার নানির বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে সাগর আদাবাড়িয়া জলসায় গেলে সেখানে কথা বলার সময় প্রেমিকার মামা মো. ফারুক হোসেন, রাসেল ও জাকির হোসেন সাগরকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাতভর মারধর ও ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে ইউপি সদস্য মো. আসাব আলী শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠান। তবে ঘটনার এক রাত এক দিন পার হলেও কিশোরকে উদ্ধার করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্কুলছাত্রীর মামা ফারুক হোসেন বলেন,জিনিসপাতি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে তাকে তুলে এনে আটকে রেখেছি। একটু ভয় ভীতি দেখিয়েছি কিন্তু শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার বিষয় আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মৌখিক অথবা লিখিত অভিযোগ পায়নি। এ বিষয়ে অবগত নয়।