মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মোসা আছমা খানের নিয়মিত পরিদর্শনের অভাবে যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—পাথালিয়া সিদ্দিকীয়া (প্রস্তাবিত) আলিম মাদ্রাসার দুইটি শ্রেণীতে টানা এক বছর ধরে কোনো শিক্ষার্থী না থাকার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে বর্তমানে একজন ছাত্র-ছাত্রীও নেই বলে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়টি অগোচরে থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার তদারকিতে চরম অবহেলার চিত্র ফুটে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ওই দুইটি শ্রেণীতে গত এক শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। তবে কাগজে-কলমে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী একাডেমিক সুপারভাইজারের নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রতিবেদন থাকলে বিষয়টি আগেই ধরা পড়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি।
অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিযোগ, একাডেমিক সুপারভাইজারের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির একটি মহল ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রশাসনিক সুবিধা গ্রহণ করছে। এতে সরকারি বিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাথালিয়া সিদ্দিকীয়া (প্রস্তাবিত) আলিম মাদ্রাসার সহকারী সুপার (ভারপ্রাপ্ত সুপার) মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমাদের দাওয়াতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে নতুন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে।”
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মোসা আছমা খানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফোন করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।
সচেতন মহলের দাবি, দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।