পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পাঠেশ্ব গ্রামের কৃষক জামাল হোসেনের ২৩ শতাংশ জমিতে শত্রুতা করে রাতের আধারে বিষ ষ্প্রে করে নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে হাসিবর, হবিবর ও নাহিদ গংদের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় ক্ষতি গ্রস্থ কৃষক জামাল হোসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম প্রধানদের কাছে বারং বার সুবিচার না পেয়ে হন্য হয়ে ঘুড়ছেন।
সরজমিন ও কৃষক জামাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেবোত্তর ইউনিয়নের পাঠেশ্ব গ্রামের মৃত গফুর প্রামানিকের ছেলে জামাল হোসেন পাঠেশ্বর মৌজায় নলগাড়ী (সুতির বিল) মাঠে ২৩ শতাংশ জমিতে রসুন চাষ করেন।
সম্প্রতি একই এলাকার হাসিবর, হবিবুর ও নাহিদ গং রাতের আধারে জামাল হোসেনের রোপণকৃত ২৩ শতাংশ জমিতে রসুন খেতে দলবদ্ধ হয়ে তার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে রসুন খেতে বনমারা বিষ স্প্রে করে। পরে সকালে গিয়ে তিনি দেখতে পান, জমির রসুন পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, পাঠেশ্বর মৌজায় নলগাড়ী মাঠে ২৩ শতাংশ জমিতে দীর্ঘ দিন যাবত পাট,ধান,গম, রসুন, পেয়াজ সহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছে। কিন্ত হাসিবর, হবিবর ও নাহিদ গংরা আমার জমিতে রোপনকৃত ফসল রাতের আধারে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে।
আমি তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগে করেন। এর আগেও আমার এই খেতে গম,পাট,ধান একই ভাবে বিষ প্রয়োগ করে ২/৩ লাখ টাকার ফসল বিষ স্প্রে করে মেরে ফেলেছে।
স্থানীয়রা জানান, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ২৩ শতক জমি চাষ করে আসছেন। একারণে কয়েক বছর ধরেই কে বা কাহারা ঐ জমির ফসল নষ্ট করে দেয়। এবার তার এই ২৩ শতক জমির রসুন নষ্টের অভিযোগের ঘটনাটি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আয়নীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে দুর্বৃত্তরা এভাবে কৃষকদের ক্ষতি করেই চলবে। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।