টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর–দেলদুয়ার) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী ডা. একেএম আব্দুল হামিদের প্রচারণাকে আরও গতিশীল করতে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের গ্রামীন ব্যাংক রোডে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকযুক্ত একটি আলোকসজ্জিত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও নিজস্ব অর্থায়নে তোরণটি নির্মাণ করেন নাগরপুর উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা যুব জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কোরবান আলী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তোরণটি উদ্বোধন করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, দলীয় প্রচারণায় শৃঙ্খলা, দৃশ্যমানতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে এ ধরনের উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি তিনি যুবনেতা মো. কোরবান আলীর সক্রিয় উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, স্থানীয় জনগণের মাঝে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পরিচিতি আরও জোরদার করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশকে প্রাণবন্ত রাখতে এই তোরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। মাঠপর্যায়ের নেতাদের এমন অংশগ্রহণ সংগঠনের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপজেলা যুব জামায়াতের সভাপতি ডা. এম. এ. মান্নান বলেন, দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জনঅংশগ্রহণ বাড়াতে যুবসমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুবনেতা কোরবান আলীর এই উদ্যোগ নির্বাচনী প্রচারণাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তোরণ নির্মাণের বিষয়ে মো. কোরবান আলী জানান, দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে সাধারণ মানুষের কাছে আরও সুপরিচিত করে তোলা এবং শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল প্রচারণার পরিবেশ তৈরি করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। তোরণটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মানুষের উৎসাহ ও সহযোগিতা তাকে এই কাজে অনুপ্রাণিত করেছে। ডা. একেএম আব্দুল হামিদের প্রতি জনগণের সমর্থন বৃদ্ধি এবং তরুণদের অর্থবহ ভূমিকা নিশ্চিত করার চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তোরণটি এলাকায় ইতিবাচক সাড়া ফেলবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি হাফেজ আজিম উদ্দিন, উপজেলা যুব জামায়াতের ক্রীড়া সম্পাদক ব্যারিস্টার হাসনাত জামিল, উপজেলা অফিস ও মিডিয়া সম্পাদক মো. আব্দুস সবুর, দেলদুয়ার উপজেলা যুব জামায়াতের ক্রীড়া সম্পাদক মো. মির্জা দীপ্ত, সহবতপুর ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি হাফেজ লুৎফর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, এই তোরণ কোনো পেশাদার নির্মাণশ্রমিক দ্বারা তৈরি হয়নি। সংগঠনের ইউনিয়ন শ্রমিক বিভাগের সভাপতি মো. আযাদ সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে মো. সাইম, রাশেদ, হাসান ও মান্নান তোরণটি নির্মাণ করেন।