সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও সক্রিয়তায় মুখর সচিবালয়

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সচল হয়ে উঠেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। আগের মতোই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সচিবালয় এখন কর্মমুখর। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই ফিরে এসেছে পুরনো চেহারায়। কাজকর্মেও গতি এসেছে। করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক মাসের স্থবিরতাও কাটছে। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা নিয়মিত অফিস করছেন। নিয়মিত অফিস করছেন সচিবরাও। তবে দর্শনার্থী প্রবেশাধিকার বন্ধ রয়েছে। তাই ‘বাইরের মানুষের’ কোনো উপস্থিতি নেই বললেই চলে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। দফায় দফায় এই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় ৩০ মে পর্যন্ত। রমজানের ঈদের পর ৩১ মে থেকে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি, আদা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক-বীমাসহ সব দফতর ও প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা জারি করে। এর এক দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুন থেকে গণপরিবহনও সীমিত পরিসরে চালু করার অনুমতি দেয়। সরকার সীমিত পরিসরে অফিস আদালত চালু করার পর ধীরে ধীরে এর পরিধি বাড়তে থাকে।

 

ঈদুল আজহার পর সরকার সচিবালয়সহ সরকারি সব দফতর পুরোদমে খুলে দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয় সকল মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মকর্তাকে নিয়মিত অফিস করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশনার পর গত সপ্তাহ থেকেই প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে এসে সচিবালয় এখন পুরোদমে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। গত তিন দিন সচিবালয়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রত্যেক মন্ত্রণালয়েই কর্মকর্তাদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একজন যুগ্ম সচিব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখন প্রতিদিনই অফিস করছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিস করছেন তিনি বলেন, কোনো কাজ থেমে নেই। সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো কর্মকর্তাই একে অন্যের দফতরে যাচ্ছেন না। ইন্টারকমে নিজেদের মধ্যে প্রয়োজনীয় কথা সেরে নিচ্ছেন।

 

সচিবরাও মন্ত্রীদের দফতরে যাচ্ছেন না অতি জরুরি কাজ ছাড়া। সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন জরুরি সভাগুলো ‘জুম’ এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি হচ্ছে। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব প্রেসব্রিফিংও করছেন ভার্চুয়ালি। এমনকি করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়া মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংও এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র বিটিভির ক্যামেরা ও রিপোর্টারের উপস্থিতিতে হচ্ছে। এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা হবে না।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।