শনিবার , ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মামলা করায় আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

পাবনা জেলা আদালত চত্বরে চলমান মামলার বাদী ও আইনজীবী মায়া আক্তারকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে জামিনপ্রাপ্ত এক আসামি। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার ঘটনার পর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

 

জিডি সূত্রে জানা যায়, নাবালিকা দুই কন্যাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে চারজন এজাহারনামীয়সহ ৮–১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী–৩ (বেড়া-সুজানগর) আদালতে মামলা করেন আইনজীবী মায়া আক্তার। আদালতের নির্দেশে সুজানগর থানা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন।

 

এ মামলার ৪নং এজাহারনামীয় আসামি শ্রী বাবলু হালদার (৪৫) মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তার তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আদালত থেকে বেরিয়েই বাবলু হালদার প্রধান উকিল বারের সামনে বাদী ও আইনজীবী মায়া আক্তারকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মামলা তুলে না নিলে প্রাণে মারার হুমকি দেন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে বাধা না দিলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারত বলে জানান মায়া।

 

পরে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে ওই দিন বারের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি থানায় জিডি করেন।

 

হুমকির পর নিজের ফেসবুক ওয়ালে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের ক্ষোভ, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি তুলে ধরেন আইনজীবী মায়া আক্তার। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন—

 

কোরবানি ঈদের দিন তাঁর নাবালিকা কন্যা ও আরও কয়েকজন শিশুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। বহু চাপ ও হুমকি সহ্য করেও তিনি মামলার পথে হেঁটেছিলেন, কারণ আইন ও আদালতের প্রতি তাঁর আস্থা ছিল। কিন্তু মামলার গুরুতর ধারাগুলো (৩৪/৩৬৩/৩৯২/৩৯৪/৫১১) থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে স্বল্প সময়ে আসামিকে জামিন দেওয়া তাকে হতাশ করেছে। এরপর আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে হুমকি, এমনকি রাতে বাড়িতে গিয়েও মামলার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।

 

স্ট্যাটাসে বিচারব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি, বিচারকের অভিজ্ঞতার স্বল্পতা এবং সংবেদনশীল মামলায় বাদীর বক্তব্য শোনার বাধ্যবাধকতা না মানার বিষয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, “আমি একজন আইনজীবী হয়েও যদি আদালতের সহযোগিতা না পাই, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হবে?”

 

মায়া আক্তারের বক্তব্যে জানা যায়, পুরো মামলাটি নিয়ে আইনজীবী সমাজ, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকসহ সবাই অবগত ছিলেন। তবুও গুরুতর অভিযোগের মামলার আসামিকে কোনো কাস্টডি ছাড়াই তাৎক্ষণিক জামিন দেওয়া বিচারপ্রার্থীদের আস্থায় আঘাত করেছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

 

মায়া আক্তার বলেন, আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের কোন ক্ষতি হলে এই দায়ভার আসামীদের সাথে সাথে এই রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার। কারণ যে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা ভিকটিম সাপোর্ট দেয় না, সে রাষ্ট্রের অপরাধীর অপরাধ এর দায়ভার রাষ্ট্রের উপরেও বর্তায়।

 

পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মনির জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।