কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের পাঁচ নং ওয়ার্ডের চাইংগামুরা এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আনুমানিক ২৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাড়ির তিন নারী সদস্য।
ঘটনাটি ঘটে গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে। প্রবাসীর বাড়িতে পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে একদল সশস্ত্র ডাকাত এই হামলা চালায়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নবী আলমের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়া করে আনা অস্ত্রধারী ডাকাত দল প্রবাসীর বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুটপাট শুরু করে। ডাকাতরা ৯.৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং ২ টন লোহা (মোট আনুমানিক ২৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল) লুট করে নিয়ে যায়। তার পাশাপাশি ১০০ ব্যাগ সিমেন্ট কুপিয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়।
লুটপাটে বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা লোহার রড, দা, কিরিচ ও লাঠি দিয়ে বাড়ির মহিলা সদস্যদের উপর হামলা করে। এতে নাসিমা আক্তার, শারমিন আক্তার এবং খতিজা বেগম গুরুতরভাবে আহত হন। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে মোট ৭ জন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন নবী আলম, পিতা মৃত মো: নুরুল ইসলাম ,ইদ্রিস, পিতা সৈয়দ আকবর
জালাল উদ্দিন, পিতা নুরুল ইসলাম,বেলাল উদ্দিন, পিতা নুরুল ইসলাম খোরশেদ আলম, পিতা নবী আলম,হুমায়ুন, পিতা শামসুল আলম মো: হানিফ, পিতা ইদ্রিস এজাহারে লুটপাট ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।