তাড়াশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবাধে অতিথি পাখি নিধন করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু পেশাজীবী পাখি শিকারিসহ কতিপয় সৌখিন শিকারিরা নির্বিঘ্নে ওই পাখি নিধন করছে। জানা যায়, প্রতিবছর শীতের মৌসুম শুরু হতেই সুদূর সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন শীত প্রধান দেশ থেকে বালিহাঁস, চখা, পানকৌড়ি, শামখইল ও কাজলাদিঘিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি একটু নিরাপদ আশ্রয় এবং ক্ষুদা নিবারণের জন্য ছুটে আসে এই চলনবিল চরাঞ্চলে। এ বছরও শীতের শুরুতেই ওই সকল পাখি চলনবিল চরাঞ্চলসহ আশপাশের বিলে আসছে। দিঘী সগুনা গ্রামের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন জানান, বিলে অতিথি পাখি আসার পর থেকেই কতিপয় সৌখিন শিকারীসহ অসাধু পেশাজীবী পাখি শিকারিরা কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে অবাধে অতিথি পাখি শিকার করছে। উপজেলার ভিলেজ ভিশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফ খন্দকার জানান, পাখিশিকারি, ক্রেতা, গ্রামের লোকজন একই সঙ্গে অসচেতন ও চালাক। অন্যায় জেনেও তাঁরা এ কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, তারা কখনও দিনে আবার কখনও রাতে ওই সকল পাখি শিকার করে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে। সৌখিন শিকারি অতিথি পাখির পাশাপাশি গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে অবাধে দেশি পাখিও শিকার করে থাকে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান জানান। সরকারিভাবে অতিথি পাখি শিকার এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিকারিরা ইচ্ছামতো ওই পাখি শিকার ও বিক্রি করছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, বেশির ভাগ শিকারি রাতে পাখি শিকার করেন। সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, শিকারিদের অবস্থান জেনে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান,দ্রুত চলনবিলের হাটবাজারে অভিযান চালিয়ে অতিথি পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
তাড়াশে শীতের শুরুতেই অতিথি পাখি নিধন
প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫