মঙ্গলবার , ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে মাংসের নামে প্রতারণা ২৫ বছর ধরে চলছে অদৃশ্য ‘মাংস সিন্ডিকেট’

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

যশোরের অভয়নগরে এক প্রকার অদৃশ্য জুয়া চলছে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে। পৌর এলাকায় প্রায় ২৫ বছর ধরে নেই কোনো কসাইখানা বা আধুনিক স্লটার হাউজ। তবুও পৌরসভা প্রতিদিন মাংস বিক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মিত কর আদায় করে। বিনিময়ে বিক্রেতারা পাচ্ছেন এক ধরনের ‘অদৃশ্য ছাড়পত্র’, যা ব্যবহার করে তারা জবাইয়ের নিয়মকানুন উপেক্ষা করতে পারছেন নির্দ্বিধায়। ফলে প্রশ্ন উঠছে মাংসের নামে অভয়নগরের মানুষ আসলে কী খাচ্ছেন?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ মাংস ব্যবসায়ী পশু জবাইয়ের ন্যূনতম নিয়মও মানেন না। কোনো তদারকি নেই, স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেই, মান যাচাই নেই। অসাধু বিক্রেতারা অবাধে গর্ভবতী গরু, অসুস্থ গরু এমনকি কখনো মরা গরুর মাংস পর্যন্ত বাজারে তুলছেন। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় ভাঙ্গাগেট বাজার ও নওয়াপাড়া বড় বাজার এলাকায়। এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাংস বিক্রেতা হতাশার সুরে বলেন, আগে নদীর ধারে মরা গরু পড়লে শকুন খেত। এখন আর দেখি না। মনে হয় গরু আর মরে না… আর যদি মরে, তাহলে যায় কোথায়?

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, নওয়াপাড়ার ৯টি ওয়ার্ডে অন্তত ৩০-৩৫টি মাংসের দোকান রয়েছে। গরুর মাংস বিক্রেতাদের প্রতিদিন ৫০ টাকা, ছাগলের জন্য ৩০ টাকা করে কর দিতে হয়। রসিদ দেয় পৌরসভার ‘কসাইখানা পরিদর্শক’ যার অস্তিত্ব কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। টাকা দিতে হয় নিয়মিত, কিন্তু কসাইখানার কোনো সুবিধা নেই। এই সুযোগে অসুস্থ গরুর মাংস দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা জসিম হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় যার যার মতো পশু জবাই করছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় না। ক্রেতারা কী কিনছে, কেউ বলতে পারে না। পৌর প্রশাসনের সদিচ্ছা আর কিছু অসাধু বিক্রেতার কারণে আজও কসাইখানা হয়নি। নওয়াপাড়ার শামিম নামের এক ক্রেতা বললেন, বিশ্বাসের ওপর ভর করেই কিনি। অন্ধের মতো মাংস খাচ্ছি। আসলে কী খাচ্ছি জানি না।

আরেক ক্রেতা সালাউদ্দিন বলেন, এঁড়ে গরুর নামে প্রায়ই বকনার মাংস দেয়। বুঝার উপায় নেই।

অভয়নগর উপজেলা পশু কর্মকর্তা আবুজার রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করি। পশু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করা হয়।

তবে বাজারের বাস্তব চিত্র তার দাবি সমর্থন করে না। তিনি আরও জানান, অনিয়ম প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচেতন নাগরিকরা বলছেন

একদিকে পৌরসভা কর নিচ্ছে, অন্যদিকে নেই স্লটার হাউজ, নেই তদারকি। ফলে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

অবিলম্বে আধুনিক কসাইখানা স্থাপন, নিয়মিত মনিটরিং এবং অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।