নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের কামারপাড়া-পারগুরুদাসপুর ব্রীজ সংলগ্ন তিনরাস্তার রাজ্জাক মোড়টি অবৈধ দখলদারদের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। জন ও যানচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ের পশ্চিমপাশে টিনের ঝুপড়ি ঘর এবং পুর্বপাশে বাঁশখুটি পুঁতে বাড়ির সীমানা বানিয়েছেন দখলকারীরা। ফলে বড় একটি গাড়ি ঢুকলেই যানজটে দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ব্রীজ সংলগ্ন সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ব্রীজের উত্তরপাশে তিনরাস্তার মোড় দিয়ে আশপাশের প্রায় দশ গ্রামের মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ও হেঁটে চলাচল করেন। একই রাস্তায় গাড়িতে ও মাথায় করে জমির ফসল ঘরে তোলেন কৃষকরা। কিন্তু রাস্তাটির কাজ শুরুর আগেই ওই মোড়ের পশ্চিমপাশে টিনের ঝুপড়ি ঘর করে সড়কের জায়গা দখলে নেন বুদ্দু মিয়া। আর পুর্বপাশে সড়কের ওপরেই বাঁশখুটি পুঁতে গোবরের দেলি শুকাচ্ছেন রহিম আলী। দখলকৃত জায়গায় গাছও লাগিয়েছেন। এভাবেই বাড়ির সীমানা করেছেন তারা। ফলে তিনরাস্তার মোড়টি সংকুচিত হয়ে ঝুকিপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় রাজ্জাক আলী, জাহিদুল ইসলাম, নাইমসহ কয়েকজন গাড়িচালক জানান, “বেশকিছুদিন আগে দখলকারীদের সামনেই ওই সড়কের সীমানা পিলার পুঁতে রেখে যান সরকারি লোকজন। সেই পিলার তুলে ফেলে পুনরায় সড়কের প্রায় চার শতক জায়গা অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। যার ফলে মোড়ের ওপর যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জরিমানা গুনেছেন। বড় ধরণের দুর্ঘটনার আগেই জনস্বার্থে সড়কের মোড়টি দখলমুক্ত এবং প্রসস্ত করার দাবি জানান তারা।”
এদিকে দখলকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বুদ্দু মিয়ার অন্যত্র পাকা ঘরবাড়ি আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, ‘‘সড়কটির নির্মাণকাজ শেষের দিকে। দখলদারদের উচ্ছেদে পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপ দরকার।’’
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে সড়কটি দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।”