অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), ময়মনসিংহ বরাবর দাখিল করা অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর ছেলে মনিরুজ্জামানকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অধ্যক্ষ শামছুল হক ফকির নয় লক্ষ টাকা দাবি করেন। এর মধ্যে সাত লক্ষ টাকা তিনি নগদে প্রদান করেন। টাকার বাকি অংশ চাকরির যোগদানপত্র হাতে পাওয়ার পর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর অধ্যক্ষের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মোট চারটি নিয়োগের জন্য অধ্যক্ষ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে নিয়েছেন। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ শামছুল হক ফকির অন্য এক ব্যক্তিকে একই পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। এমনকি তাঁর বাসায় টাকা ভর্তি খাম পৌঁছানোর ছবি ও ভিডিও প্রমাণও রয়েছে বলে অভিযোগকারী দাবি করেছেন।
অভিভাবক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগে কমিটির সদস্যদেরও এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। অতীতেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল, যার স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন সেই সময়ের অভিভাবক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযোগকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এমন কর্মকাণ্ডের ফলে এলাকায় উত্তেজনা ও গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তিনি অভিযোগের সঙ্গে ছবি, ভিডিও ও পূর্বে দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের কপি সংযুক্ত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ও ঘটনার তদন্তপূর্বক অধ্যক্ষ শামছুল হক ফকিরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।