বৃহস্পতিবার , ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ধানের চেয়ে খড়ের দাম বেশি: গোপালপুরে গোখামারি মুখে চিন্তার ভাঁজ

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৫
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ধান কাটার মৌসুমে কৃষকদের মুখে হাসির চেয়ে চিন্তার ভাঁজই বেশি। মাঠে সোনালি ধান পেকে গেলেও বাজারে দেখা দিচ্ছে এক অদ্ভুত চিত্র—ধানের চেয়ে গরুর খাদ্য খড়ের দামই বেশি।
দেশের গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড়ের চাহিদা বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। কৃষি জমি দিন দিন কমে যাওয়া, বোরো মৌসুমে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং আবহাওয়াজনিত কারণে কৃষকরা পর্যাপ্ত পরিমাণ খড় ঘরে তুলতে পারেননি। ফলে বাজারে খড়ের সরবরাহ কমে গিয়ে দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
বর্তমানে গোপালপুরে এক মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকায়, অথচ সেই ধানের খড় বিক্রি হচ্ছে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা মণে। এবং আঁটি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকা করে কৃষকরা বলছেন, এমন অবস্থা আগে কখনো দেখা যায়নি।
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের মুদিখানা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে খড় বিক্রির ধুম পড়ে গেছে। খড় বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি কুড়িগ্রাম থেকে খড় এক ট্রাক ঘড় এনে প্রতিটি আটি ১১ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করছেন। “সামান্য কিছু লাভ থাকে, কিন্তু চাহিদা এত বেশি যে পাইকাররা আমার কাছ থেকে কিনে বিভিন্ন হাটবাজারে আরো বেশি মূল্যের বিক্রি করে বিক্রয় করছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ধান বিক্রি করে কিছু লাভ হবে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে খড়ই যেন সোনার খড়। গরুর খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সবাই খড় কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
গরু খামারি আব্দুল মালেক জানান, সাতটি গরু রয়েছে, কিন্তু বোরো মৌসুমে খড় সংগ্রহ করতে না পারায় এখন বাজার থেকে বেশি দামে খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। এতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়ে গেছে বহুগুণে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গবাদি পশুর খাদ্যের ঘাটতি এবং খামারি সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খড়ের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন খড় সংরক্ষণ ও বিক্রির মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে।
কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মানুষ ধান উৎপাদনের চেয়ে খড় বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।