রামু উপজেলার চাকমারকুলের ইউনিয়নের পূর্ব মোহাম্মদপুরা এলাকায় জমি দখলে নিতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃদ্ধ ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম জানান,বাঁচা মিয়ার তিন ছেলে সিরাজুল হক, আজিজুল হক, আফিদুল হক আমার ভাঙচুর ও হামলা চালান। ১৮ই অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে ফিল্ম স্টাইলিশ অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হইয়া বসতভিটার বাড়িঘর,গাছপালা,গোয়াল ঘর সহ সীমানার ইটের দেওয়াল ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে।
সারজমিনে দেখা যায়,নুরুল ইসলামে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে,বসতবাড়ির রান্নাঘর,গোয়াল ঘর ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার চিত্র রয়েছে।
স্থানীয় আবছার কামাল জানান, যে বসতভিটায় হামলা চালানো হয়েছে উক্ত জায়গায় দীর্ঘ কয়েকশ বছর পূর্ব থেকে তারা বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে উল্লেখ্য ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এটা সামাজিকভাবে অত্যন্ত নিন্দনীয় খারাপ কাজ করছে।
স্থানীয় মুস্তাফা নামে আরেক ব্যক্তি জানান, আমরা একই গোষ্ঠীর লোকজন তারা জমির ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের সাথে বিরোধ চলেছিলো বাঁচা মিয়া ও তার ওয়ারিশদের সাথে। এর জেরে হামলার দিন নুরুল ইসলামের বাসায় কোন পুরুষ সদস্য না থাকার সুযোগে হামলা করেন।
ভুক্তভোগী আমানুল্লাহ জানান,তার পৈত্রিক বসতভিটায় জন্মের পূর্বে থেকে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার দিন মাকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থানকালে স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ভাই এবং ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী নিয়ে বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন । এসময় টিনের ঘর,বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে এবং বিভিন্ন প্রজাতের গাছপালা কেটে ফেলা হয়। পাশাপাশি বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া প্রতিনিয়তে তারা আমার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে গত ১৮ই অক্টোবর রামু থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করলে তারা সংবাদ কর্মীদের সাথে কোনভাবে কথা বলতে রাজি হয়নি।