শুক্রবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নাগরপুরে স্ক্যাবিস রোগে আক্রান্ত বাড়ছে প্রতিদিন, বেশী আক্রান্ত শিশুরা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় খোসপাঁচড়া জাতীয় ছোঁয়াচে চর্মরোগ স্ক্যাবিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগী স্ক্যাবিসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ রোগে শিশুরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ক্যাবিস একটি পরজীবী (Sarcoptes scabiei) বাহিত চর্মরোগ, যা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ বা ব্যবহৃত পোশাক, বিছানাপত্রের মাধ্যমে দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের আঙুলের ফাঁক, কবজি, বগল, নাভি, কোমরের নিচে ও যৌনাঙ্গের আশপাশে তীব্র চুলকানি এই রোগের সাধারণ লক্ষণ। বিশেষ করে রাতে চুলকানি বেড়ে যায়। ফুসকুড়ি বা ফোসকার মতো দানা উঠতে পারে, যা থেকে তরলও নিঃসৃত হয়।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা ৪০ বছর বয়সী এক রোগী জানান, তিন সপ্তাহ ধরে সারা শরীরে প্রচণ্ড চুলকানি হচ্ছিল। ফার্মেসি থেকে মলম কিনে ব্যবহার করেও ভালো হয়নি। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে জানতে পারি, এটি স্ক্যাবিস।
কাশাদহ গ্রামের গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম বলেন,আমার ৪ বছরের ছেলের শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং চুলকাচ্ছিল। পরে দেখি, আমরাও আক্রান্ত হই। ডাক্তার বলেছেন, পুরো পরিবারকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।”
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. কাজল পোদ্দার বলেন,স্ক্যাবিস ছোঁয়াচে হলেও এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে জটিল সমস্যা হতে পারে। এ রোগ ধরা পড়লে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্ক্যাবিস রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়মিত গোসল করতে হবে, প্রতিদিনের জামা কাপড় প্রতিদিন পরিবর্তন করতে হবে এবং আক্রান্ত হলে নিজের মতো ওষুধ ব্যবহার না করে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নাগরপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, শিশুদের মধ্যে স্ক্যাবিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা অভিভাবকদের সতর্ক করছি।
নাগরপুর বাজারের এক হোমিও চিকিৎসক জানান,প্রতিদিন ৪/৫ জন করে স্কাবিস রোগী পাচ্ছি। তারা হোমিও মেডিসিন সেবনে সম্পূর্ণ আরোগ্য হচ্ছে,আলহামদুলিল্লাহ।
উল্লেখ্য,স্ক্যাবিস নিয়ে আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা জরুরি। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সংক্রমিতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা এবং সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণই পারে এই ছোঁয়াচে রোগের বিস্তার রোধ করতে। নাগরপুরে সংক্রমণের হার বাড়লেও সম্মিলিতভাবে সচেতনতা বাড়ানো গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।