পাবনার ঈশ্বরদীতে অশালীন আচরণ, স্বেচ্ছাচারী দূর্ব্যবহার, পতীত আওয়ামীলীগকে পূনবাসনের চেষ্টা এবং গণঅভ্যুত্থান কারীদের অপদস্থ ও হেনস্থার প্রতিবাদে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী পারিবারের সদস্য মো. মেহেদী হাসান। গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের মহা সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন ঈশ্বরদীবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার। এ সময় শহরের স্টেশন রোড থেকে শুরু করে বাজার হয়ে উপজেলা ফটকের সামনে পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। তারা নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে পদত্যাগের নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচীব মো. মেহেদী হাসান বক্তব্যে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহন করে নিহতদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কিন্তু ঈশ্বরদীর নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামান সেই স্বৈরাচার পতিত আওয়ামীলীগকে ঈশ্বরদীতে পূণঃবাসিত করার জন্য তাদের সাথে নানা অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন। তাদের দাওয়াত করে বসাচ্ছেন পাশের চেয়ারে। তার কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি কোন প্রকার কর্ণপাত করছেন না। তার পাশাপাশি তিনি অশালীন আচরণ করছেন সেবা প্রত্যাশীদের সাথে। মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, আমি সরকার কে কর দিয়ে পদ্মা নদীতে তরিয়া মহলের খাজনা আদায় করি। সেই খাজনা আদায়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাকে নানা ভাবে বাধা প্রদান করছে। আমি এই বিষয়ে তার কাছে সুরাহা দাবি করলে তিনি আমাকে ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি বলেন যেখান থেকে ইজারা নিয়েছেন সেখানে গিয়ে সমাধান দাবি করেন। এখানে আমার করার কিছুই নেই। মেহেদী হাসান আরো বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুজ্জামান আওয়ামীলীগের দোসর। সে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নিকট আত্বীয়। সে বাংলাদেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তাই সে পতিত আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার , ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
ঈশ্বরদীতে নবাগত ইউএনও মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫