শুক্রবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের অনিয়মের শেষ কোথায়

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের অনিয়ম খেয়ালখুশি মতো চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সাধারণ রোগীরা নাজেহাল। সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডের রোগীদের অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ৫ অক্টোবর মহিলা ওয়ার্ডে ডাক্তার মরিয়ম মুনমুনের রোগী দেখা রাউন্ডে ডিউটি থাকায় তিনি যথা সময়ে রোগীর সেবা দিতে মহিলা ওয়ার্ডে যায়। মহিলা ওয়ার্ডে কিছু রোগী দেখেন, কিন্তু মহিলা ওয়ার্ডে রোগী থাকার স্থানে অনেক দুর্ঘন্ধ থাকায় তিনি কিছু রোগীর সেবা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাকি রোগী না দেখেই ওয়ার্ড থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে বাকি রোগীদের ডাক্তার শান্ত এসে দেখেন ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যায়। মরিয়ম মুনমুন রোগী না দেখার কারণ হিসাবে জানা যায়, ওই ওয়ার্ডে প্রচন্ড দুর্ঘন্ধ বের হচ্ছিলো প্রশ্ন হচ্ছে একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে প্রচন্ড দুর্ঘন্ধের কারণে একজন ডাক্তার যেখানে ৫ মিনিট দাড়াতে পারেনা সেখানে একাধিক রোগী কেমনে থাকছে। অন্যদিকে ওই ওয়ার্ডের একাধিক মহিলা রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে তিনদিন ভর্তি অতিবাহিত হলেও সরকারি ভাবে কোন খাবার দেওয়া হচ্ছে না। অনেক রোগীর জন্য বরাদ্দ খাবার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। রোগীর জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের অধিকাংশ হাসপাতাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোপাট হয়ে যায়। এটা নতুন কোন বিষয় না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি ভাবে রোগীদের জন্য বরাদ্দ খাবার কম দেওয়া ও খাবারের এক অংশ লোপাট হওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কখনো নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। ফলে সরকারি ঔষধসহ খাবার লোপাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছেই। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার শান্ত বলেন, ডাক্তার মরিয়ম মুনমুন কিছু রোগী দেখে চলে আসছিলো বাকি রোগী আমি সবকটি দেখে আসছি কোন সমস্যা নেই। এবিষয়ে কোন কথা থাকলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জিগ্যেস করেন। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলিমুর রাজিব বলেন, একজন রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় তার ৫/৭ দিন বাথরুম না হওয়ায়, সেখানে দুর্ঘন্ধ ছড়িয়েছিল পরে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে। আর খাবার ৫০ জনকে দেওয়া হয়, কিন্তু রোগীর সংখ্যা এখন ৯০ জনের অধিক তাই বাজেটের মধ্যে যা নিয়ম আছে আমরা খাবার সেই ভাবে বন্টন করা হয়। এছাড়া কোন অনিয়ম করা হয়না। আর কোন অনিয়ম হলেই সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।