দুনিয়া হলো অস্থায়ী আবাসস্থল। এখানে মানুষ আসে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, চিরস্থায়ী সুখ ভোগ করার জন্য নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর অবশ্যই পরকালই হলো চিরস্থায়ী আবাস।” (সুরা আনকাবুত: ৬৪)
আজ আমরা মানুষ দুনিয়ার সাজ-সজ্জা, ভোগ-বিলাস, অর্থ-সম্পদ আর ক্ষমতার মোহে মগ্ন হয়ে গেছি। মনে হয় যেন এই দুনিয়াতেই আমাদের চিরকাল থাকতে হবে। অথচ বাস্তবতা হলো—কেউ এখানে চিরকাল বাঁচবে না। মৃত্যুর পর শুরু হবে নতুন জীবন, যা আখিরাত নামে পরিচিত। সেই জীবন হবে চিরস্থায়ী, আর সেই জীবনের জন্যই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন—
“বুদ্ধিমান সে-ই, যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর অক্ষম সে-ই, যে নফসের খাহেশে ডুবে থাকে এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করে শুধু আশা করে।” (তিরমিজি)
অতএব, দুনিয়ার ভোগ-বিলাসকে লক্ষ্য বানানো মুমিনের কাজ নয়। মুমিনের আসল লক্ষ্য আখিরাতের সফলতা অর্জন করা। এর জন্য দরকার—নমাজ, রোজা, যাকাতসহ ফরজ আমল পালন করা গুনাহ থেকে বিরত থাকা মানুষের হক আদায় করা ভালো চরিত্র ও নৈতিকতা গড়ে তোলা।
দুনিয়ার জীবন হলো সামান্য সময়ের। কিন্তু আখিরাতের জীবন অনন্ত। তাই বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসে মগ্ন না হয়ে আখিরাতের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকে।
আসুন, আমরা সবাই দুনিয়ার ভোগকে সীমিত রেখে আখিরাতের পথচলার জন্য প্রস্তুত হই। কেননা আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমাদের একমাত্র মুক্তির পথ, আর আখিরাতের সাফল্যই প্রকৃত চাবিকাঠি।