রবিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শন অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র, সাতক্ষীরাবাসীর ক্ষোভ

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সহকারী পরিদর্শন অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ  উঠেছে।
এঘটনায় তালা উপজেলাসহ সাতক্ষীরা জেলাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
একজন রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্রকে নিয়ে এমন মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ তোলায় এলাকায় রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চর ঘটেছে।  সহকারী পরিদর্শক অজয় কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করার মিশনে নেমেছে এই ষড়যন্ত্রকারী মহলটি। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অমল কান্তি ঘোষের একমাত্র পুত্র।
তিনি দীর্ঘ দিন তালা উপজেলায় সুনামের সাথে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তামানে তিনি সহকারী পরিদর্শক হিসাবে বাগেরহাট জেলার বাগেরহাট সদর উপজেলায় কর্মরত আছেন। তার চাকুরি জীবনে নানাবিধ অর্জন রয়েছে।
তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় সহকারী পরিদর্শক থাকাকালীন সময়ে তালা উপজেলা থেকে সমবায়ী এবং সমবায় সমিতি জাতীয় সমবায় পুরস্কার পেয়েছে অনেকবার।
তিনি চাকরি জীবনে সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকি নিয়ে একটি বাড়ী একটি খামার সমবায় সমিতি নিবন্ধন করেছিলেন সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে।
তার জন্য তৎকালীন নিবন্ধক ও মহাপরিচালক জনাব হুমায়ুন খালিদ এবং তৎকালীন সমবায় সচিব মিহির কান্তি মজুমদার তালায় এসে জনসমক্ষে অজয় কুমারের সাহস এবং সমবায় বিভাগের প্রতি একনিষ্টতার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
তার চাকরির জীবন শুরু হয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় সেখানে নুতন কর্মচারী হিসাবে তিনি সমবায় বিভাগে তার ব্যক্তিত্ব এবং কাজের দক্ষতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তারপর তিনি বিভাগীয় সমবায় কার্যালয় খুলনায় যোগদান করেন সেখানেও তিনি কাজের দক্ষতা এবং সমবায় বিভাগের মানউন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করেছিলেন কিন্তু বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে সহকারী পরিদর্শকের কোন পোষ্ট না থাকায় তাকে বদলী করা হয় তালা উপজেলায়।
তালা উপজেলা সহ তিনি পাইকগাছা এবং কেশবপুরে তার কৃতিত্বের অবদান রেখেছেন।বর্তমানে তিনি বাগেরহাট জেলায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তার সুনাম এবং সম্মানকে ক্ষুন্ন করতে কতিপয় কিছু  অসাধু ব্যক্তিবর্গ অসত্যের আশ্রয় নিয়ে তাকে নানাবিধ হয়রানি করে চলেছেন।
এবিষয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার উপজেলা সমবায় অফিসার জনাব মোঃ রুহুল আমিন বলেন, অজয় কুমার ঘোষ নিয়মিত অফিস করেন এবং অত্র উপজেলায় একজন দক্ষ , অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান কর্মচারী হিসাবে তার স্বক্ষর রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির নূন্যতম প্রমান অত্র উপজেলায় নাই।
তালা উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি একজন ভদ্র কর্মচারী হিসাবে সবার সাথে মিশতেন এবং অফিসের কোন কাজে তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ নাই।
তালা উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক সভাপতি জনাব মৃনাল কান্তি রায় বলেন, অজয় প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। তার পিতা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা।অজয় কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃপ্ত নয়।তাকে বাগেরহাট বদলি করায় তালা উপজেলার সমবায়ীরা আমার কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।তার মত একজন মেধাবী এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে তালা উপজেলায় প্রয়োজন।
তালা উপজেলার সাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাধারন সম্পাদক এবং তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, অজয় একজন মেধাবী কর্মকর্তা। সে সবার সাথে হাসি খুশী এবং ভদ্রভাবে চলাচল করে। তার চলাচলে আমি কখনো অতি উগ্রতা বা সাম্প্রদায়িকতা দেখিনি কখনো। আমি সমবায় কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করি তাকে যেন দ্রুত সময়ের ভিতর তালা উপজেলায় পদস্থ করা হয়।
এবিষয়ে অজয় কুমার ঘোষকে তার মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু পত্রপত্রিকায় অসাধু ব্যক্তিবর্গ মিথ্য প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে মানুষকে  বিভ্রান্তি করছে । তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের নূন্যতম প্রমান করতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে দেবো।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।