যশোরের অভয়নগরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞাপণের নামে ভয়াবহ ল চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে এমনটাই উঠে এসেছে। জানা গেছে, উপজেলার নওয়াপাড়া হাসপাতাল রোডে একাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। সেই সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থানীয় আঞ্চলিক পত্রিকার বিজ্ঞাপণের দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ভয়াবহ চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত একশ্রেণীর অসাধু নামধারী সাংবাদিক পরিচয় দানকারীরা। সূত্রে জানা যায়, ওইসব অসাধু নামধারী সাংবাদিকরা বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের নিউজ করাসহ প্রসাশন দিয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার ভয় দেখিয়ে বিজ্ঞাপণের নামে লুটে নেন মোটা অংকের টাকা। ওইসব নামধারী সাংবাদিকদের ভয়ে ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক থাকে চরম বিপাকে। শুধু ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার নয়, নওয়াপাড়া বাজারে বিভিন্ন ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ও বিজ্ঞাপণের নামে লাখ লাখ টাকা প্রতিমাসে আদায় করা হয়। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান, জাতীয় দিবস ও ঈদকে সামনে রেখে ওই সব অসাধু নামধারী সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমনকি বিজ্ঞাপণের নামে ওইসব সাংবাদিকদের হাত থেকে অভয়নগরের রাজনৈতিক নেতারাও বাদ পড়েনা। ফলে ওইসব বিজ্ঞাপণ দোহাইয়ে চাঁদাবাজি করার কারণে উপজেলায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অনিয়মে ছড়াছড়ি বহুমাত্রিক রুপ ধারণ করলেও প্রতিবাদ করাসহ অপরাধের বিরুদ্ধে কোন নিউজ প্রকাশিত হয়না। যদিও কোন সাংবাদিক সাহস করে নিউজ করলেও তার পড়তে হয় অসাধু নামধারী সাংবাদিকদের রোষানলে পড়ে সম্পর্ক ঠিক রাখার স্বার্থে তাকে থেমে যেতে হয়। না হলে ওই সাংবাদিকের নামে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করতেও ওই অসাধু নামধারী সাংবাদিক পরিচয় দানকারীরা পিছপা হয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নওয়াপাড়ার এক ক্লিনিক মালিক বলেন, স্থানীয় আঞ্চলিক একটি পত্রিকায় প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা বিজ্ঞাপন চাঁদা দিতে হয়। না হলে আমার ক্লিনিক বন্ধসহ আমাকে ব্যবসা করতে দিবেনা। আমি আতংকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। অথচ আমার ক্লিনিকের কোন বিজ্ঞাপণ দরকার হয়না। নওয়াপাড়া বাজারে একজন ব্যবসায়ী বলেন বিজ্ঞাপণ আমাদের প্রয়োজন হয়না, তারপরও প্রতিমাসে বিজ্ঞাপণের দোহাইয়ে টাকা দিতে হয়। এটা আসলে বিজ্ঞাপণের বিষয় না, এটা নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অপকৌশল মাত্র। এবিষয়ে নাগরিক সমাজের এক নেতা নাম না বলার শর্তে বলেন, আমি যতটুকু বুঝি তা হলো সব সাংবাদিকরা এমনটি করেনা, দু’একজন সাংবাদিকের কারণে অভয়নগরের সাংবাদিক সমাজের বদনাম হয়। নিয়মিত বিজ্ঞাপণের নামে চাঁদা আদায় এটা নতুন কিছু না। সূত্রে আরো জানা গেছে, ওই সব ভূঁইফোড় অনৈতিক সুবিধাবাদী সাংবাদিকদের কারণে নওয়াপাড়া ক্লিনিক বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় মিডিয়ায় কোন বিজ্ঞাপণ দিতে চায়না। ফলে বিপাকে পড়তে হয় জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধিদের। বিজ্ঞাপণের নামে কৌশল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়কারী পত্রিকাসহ জড়িত সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে ফোনটা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার , ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৬শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
অভয়নগরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বিজ্ঞাপণের নামে চাঁদাবাজি
প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫