জনবান্ধব সেবায় বদ্ধপরিকর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চলছে তাঁর কর্মকালীন নিরপেক্ষতা ও সঠিক দায়িত্ব পালনে নানা গুণকির্তন ও প্রশংসা।
বলতেছিলাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ বিল্লাল হোসেন এঁর কথা। পাকুন্দিয়ায় তাঁর কর্মকাল খুবই চ্যালেঞ্জিং।
সরকার পতনের পর পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্ত হলে তিনি উপজেলা প্রশাসকের দায়িত্বে নিয়োজিত হন। এক দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অন্যদিকে এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান শূণ্য থাকায় উপজেলায় প্রশাসকের দায়িত্ব পালন সহ সব গুলো সেক্টরের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করা তাঁর জন্য ঠিকই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি জটিল সমস্যা ছিল। এ অবস্থায় তিনি সব গুলো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সাথে সকল বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সুন্দর ভাবে উপজেলার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং বর্তমানে তা অব্যাহত আছে।
তাঁর কার্যকালে পাকুন্দিয়ার তৃণমূল সেবা থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি অফিসে নিয়ম মাফিক কাজকর্ম সম্পাদন করে যাচ্ছেন। জনদুর্ভোগ জড়িত রাস্তা উন্নয়ন ও সংস্কার, তদারকি এবং শিক্ষার ক্ষেত্রেও এসেছে আমুল পরিবর্তন।
বাজার মনিটরিং ও বাজারের যানজট নিরসন এবং সরকারী সম্পত্তি জবরদখল থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রেও তাঁর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প মনিটরিংয়েও প্রশংসা খুঁড়িয়েছেন উপজেলাবাসী সহ সচেতন মহলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, “সরকারের বিধি বিধানের মধ্যে মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। সরকারি দপ্তরের সবাইকে আন্তরিক এবং দায়িত্ববান হয়ে মানুষকে সেবা দিতে হবে। হয়রানিমুক্ত সেবা পাওয়া মানুষের অধিকার। সে অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।”
উল্লেখ্য: তিনি বিগত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বুধবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে কর্মস্থলে যোগদান করেন। তারপূর্বে তিনি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে মোঃ বিল্লাল হোসেন চাকুরিতে যোগদান করেন। জানা গেছে, তিনি তানোর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।