কামরান পারভেজ ইভান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষকের বেদম বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত তৌফিকুর রহমান (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে শিক্ষক হযরত আলীর বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করলে সোমবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনে এ ঘটনা ঘটে। আহত তৌফিকুর রহমান পৌর এলাকার পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের তুষার আহম্মেদ বুলবুলের ছেলে ও ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনের হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনের হিফজ বিভাগের শিক্ষক কর্তৃক মারধরের শিকার তৌফিকুর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের দুই নম্বর বেডে শুয়ে ব্যথার যন্ত্রণায় কান্না কন্ঠে বলেন, পড়া না পাড়ায় হুজুর আমাকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর শুরু করেন। আমি মারধরের এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে তার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাই কিন্তু সে আমার কথায় কান না দিয়ে মারতেই থাকে। এর পর আমি বেহুস হয়ে পরি।
এর আগের দিন শনিবারও একই কায়দায় মারধর করা হয় তাকে। মারধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি সে তার মার কাছে জানালে তাকে ভূঞাপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
ভূঞাপুর ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও ইবরাহীম খাঁ হাফিজিয়া মাদরাসা ও ইসলামী কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ আব্দুছ সোবহান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কী কারণে শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে সেটা জানতে পারেনি। হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে গিয়েছিলাম।
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত সাইয়ীদা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর হাত-পা, ঊরু, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের কারণে জখম হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তিসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছেলেটির মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে শিক্ষক হযরত আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার (১৭ আগস্ট) রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।