শনিবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল || ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গাইবান্ধায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য : বাড়ছে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

আশরাফুজ্জামান সরকার,গাইবান্ধাঃ-

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা সংক্রমণকালে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে গাইবান্ধায় রমরমাভাবে চলছে শিক্ষকদের প্রাইভেট বাণিজ্য । এক শ্রেণীর শিক্ষক বাড়িতে রীতিমত বিদ্যালয় খুলে বসেছেন। যেখানে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এতে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে তেমনি স্বল্প আয়ের অভিভাবকরা করোনাজনিত এই আর্থিক সংকটের সময়ে সন্তানের প্রাইভেটের অর্থ যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ১৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। সেই থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্কুল-কলেজের এক শ্রেণির শিক্ষক শিক্ষাদানের নামে বাড়িতে বাড়িতে প্রাইভেট বাণিজ্য শুরু করেছেন। কিন্তু তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তাগিদ নেই। তারা ব্যাচ হিসেবে তাদের ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। এতে প্রতি ব্যাচে ১৮ থেকে ২০ জন করে ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে।

 

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। এমনকি অনেক শিক্ষক ফোন করে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করছেন। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার ভয়ে শিক্ষকদের বাড়ি বা ভাড়া করা রুমে গিয়ে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে শহরের সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। শুধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরাও প্রাইভেট বাণিজ্য করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। সচেতন অভিভাবকরা মনে করেন সরকারি নির্দেশ উপেক্ষিত হওয়ায় গোপনে প্রশাসনিক তৎপরতার মাধ্যমে এই প্রবণতা বন্ধ করা একান্ত অপরিহার্য। এ ব্যাপারে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাজহার-উল মান্নান বলেন, করোনাকালে যেখানে শিশুদের স্কুলে আসতে দেয়া হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে গোপনে বাড়ি বাড়ি সেই একই কাজ যখন করা হচ্ছে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া প্রাইভেট পড়ানোও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

সুতরাং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং প্রশাসনের তৎপর হওয়া একান্ত আবশ্যক। বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস ইসলাম মঞ্জু বলেন, এটা স্বাস্থ্যবিধির চরম লংঘন। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।