রবিবার , ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

রাণীনগরে রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নওগাঁর রাণীনগরে রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে এলাকাবাসি মানববন্ধন করেছে। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মিরাট ইউনিয়নের ‘বিল- মুনসুর’ এর মধ্যে দিয়ে চলাচলের রাস্তাটি দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলিত। জামালগঞ্জ বাজার থেকে শৈলগাছী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে হরিশপুর-মিরাট-নয়াহরিশপুর ৪ কিলোমিটার রাস্তা মাটির। যুগের পর যুগ এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে আছে এই রাস্তা। বছরের পর বছর সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিলেও কেউ রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেয়নি। বাধ্য হয়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার মিরাট ইউনিয়নবাসির আয়োজনে ওই মাটির রাস্তায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে এলাকার সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক, ভ্যান চালক সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার শত শত মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার, মিরাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মিরাট ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিনুর ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য টিপু সুলতান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাহার আলী, মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দীন, মিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার জামালগঞ্জ বাজার থেকে মিরাটের বিল-মুনসুরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে পার্শ্ববতী নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। রাস্তাটির কিছু অংশ পাকা আবার কিছু অংশ ইট বিছানো। এর মধ্যে হরিশপুর-মিরাট ও নয়াহরিশপুর ৪ কিলোমিটার মাটির রাস্তা। শুষ্ক মৌসুমে রাস্তা দিয়ে চলাচলা করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তায় কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকার কয়েকটি গ্রামের কৃষক, ভ্যানচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষের। প্রতিদিন এলাকার হাজারো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে রাণীনগর উপজেলা, নওগাঁ, রাজশাহীর বাগমারাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে।

মানববন্ধনে রাসেল সরকার বলেন, এই মাটির রাস্তাটি এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। তবুও যুগের পর যুগ জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি আজও অবহেলিত। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলা করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। এতে রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। বিকল্প পথে চলাচল করতে হয়। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিনি বলেন, জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু পর্যন্ত হয় । ছেলে-মেয়েদের ভালো স্থান থেকে বিয়ের সম্পর্ক আসে না, শুধুমাত্র এই খারাপ রাস্তার কারণে। এই রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে রাণীনগর উপজেলা যেতে দুরত্ব কমবে প্রায় ১০ কিলোমিটার। আবার নওগাঁ যেতে কমবে প্রায় ২০ কিলোমিটর। আমরা এলাকার লোকজন সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরণা দিলেও আজও কেউ রাস্তাটি পাকাকরণ করে দেয়নি।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ওই রাস্তার যতটুকু পাকা আছে সেটুকু সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। আর মাটির যে রাস্তা আছে সেটা পাকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র প্রেরণ করেছি। অনুমোদন হলে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।