বৃহস্পতিবার , ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১২ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

বান্দরবানে এনজিও গোলটেবিলে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সতর্কবার্তা অফিস স্থাপন হবেঃ জেলা প্রশাসক 

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫
বান্দরবান জেলায় অগ্রিম কার্যক্রমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিলের গুরুত্ব অনুধাবন বিষয়ে অনুষ্ঠিত জেলা পর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেছেন—“প্রতিটি এনজিওর প্রকল্প যেন স্থায়ী ও টেকসই হয়।”
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে সেভ দ্যা চিলড্রেন, আশিকা ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ইপসা ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে এ গোলটেবিল  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সমীক্ষা অনুযায়ী বান্দরবানের ৪ লাখ ৮১ হাজার মানুষের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। অথচ দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় মাত্র ৩১টি পরিবারকে ক্যাশ সাপোর্ট দেওয়া হবে যা খুবই নগণ্য। তিনি প্রশ্ন রাখেন—“এনজিওগুলোর আলোচনা সভা, গোলটেবিল বৈঠক ও ইস্যুভিত্তিক কার্যক্রমে যে অর্থ ব্যয় হয়, তা আসলেই কি ঝুঁকিতে থাকা সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো পাচ্ছে?”
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থাপিত সাবস্টেশনগুলো টেকসই কিনা এবং প্রকল্প শেষে এগুলোর দায়িত্ব কে নেবে, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
সেভ দ্যা চিলড্রেনের এন্টিসিপেটরি অ্যাকশন ম্যানেজার ফাতেমা মেরুননেসা স্বীকার করেন যে, প্রকল্পে সহায়তা অপ্রতুল। তবে তিনি জানান, সেভ দ্যা চিলড্রেনের অন্যান্য প্রকল্প থেকে  সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্প শেষে সাবস্টেশনগুলোর দায়িত্ব আবহাওয়া অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে যাবে এবং তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেভ দ্যা চিলড্রেনের সিনিয়র ম্যানেজার সাইমন রহমান। তিনি বলেন, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস খুব দ্রুত ঘটে, তাই যারা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে তারা অনেক সময় বুঝতেই পারে না ধস কখন নামবে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের দ্রুত খবর পৌঁছে দিলে তারা নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারবে। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন খাতে অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় জানানো হয়, অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা ভূমিধসের আগে আগাম সতর্কবার্তা নিশ্চিত করতে আবহাওয়া অধিদপ্তর নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা ও বাঁশখালী উপজেলায় নতুন সতর্কবার্তা অফিস স্থাপনের জন্য সাইট নির্বাচন করেছে। লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর উপজেলায়  ২০২৪ সালের মে মাস থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ মাসব্যাপী এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে প্রায় ২০ হাজার ২০০ মানুষ উপকৃত হবেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম মনজুরুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. ফরহাদ সরদার, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট জয়া দত্ত ও মো. সরোয়ার হোসাইন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ এমএম শাহনেয়াজ, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সনাতন কুমার মন্ডল, সেভ দ্যা চিলড্রেনের কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়বসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।