পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কালাস নামক এক বিষাধর সাপের কামড়ে কনা খাতুন(২১) নামক দুই সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কনা খাতুন উত্তরচক ছাতিয়ানী পল্লী বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের পাশে আব্দুল করিমের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে আজ বুধবার ২০ আগষ্ট ভোরে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো কনা। এ সময় কালাস নামক একটি বিষাধর সাপ তার বাম হাতে কামড় দিয়ে জড়িয়েছিল।
পরে কনা ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে তার বাম হাতে সাপ জড়িয়ে আছে দেখতে পেয়ে ছুরে ফেলে এবং সাপ কামড় দিছে বলে চিৎকার করলে পরিবারে লোকজন এসে সাপটিকে আধাঁ মারা করে বয়েমে ভরে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কনাকে ভর্তি করেন।
দীর্ঘক্ষন চিকিৎসার দেয়ার পরেও কনা খাতুনের অবস্থা বেগতিক দেখা দিলে চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে বেলা পৌনে একটার সময় বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে তার মৃত্যু হয়। নিহত কনা খাতুন ১ছেলে, ১ মেয়ে রেখে গেছেন।
কনা খাতুনের মৃত্যুে এলাকাবাসির মধ্যে এই সাপ আতংক বিরাজ করছে।
নিহত কনা খাতুনের মামা ফজল আলী জানান, আমার ভাগ্নি কনা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে চিকন কালো চকরা বকরাওয়া সাপ বাম হাতে কামড় দিয়ে লেগে আছে।
একপর্যায় ভাগ্নি কনা সাপ দেখে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে এসে দেখে তাকে সাপ কামড় দিয়েছে। সাথে সাথে তার হাত বেধে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়।
নিবির চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এবং বাঘা হাসপাতালের সামনে সে মারা যায়। তার এই মৃত্যুে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।