কিশোরগঞ্জে দুই জনকে আসামি করে মাছ চাষির মামলায় মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাবেক এমপির ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের বিএনপি মনোনীত সাবেক সাংসদ মজিবুর রহমান মুঞ্জুর ছেলে মফিজুর রহমান সুমন (৪৫) কে ২০ ড্রাম ভর্তি মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার (১১/৮/২০২৫) আদালতে সোপর্দ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক।
মাছ চাষি ও মাছের মালিক আবু তাহের বাদী হয়ে মফিজুর রহমান সুমনসহ দুই জনকে আসামি করে রোববার রাতে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর উপজেলার শুভারামপুর গ্রামের মাছ চাষি আবু তাহের (৭৫) রোববার সকালে ২০ ড্রাম ভর্তি পাঙ্গাশ মাছ টমটমে উঠিয়ে আড়তে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তিনি বাজিতপুর বাজার সংলগ্ন বড় ব্রীজটি অতিক্রম করার সময় মফিজুর রহমান সুমন তার সহযোগীদের নিয়ে গতিরোধ করে আবু তাহেরকে টমটম থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে দেয়। এরপর সুমন মাছের গাড়িটি নিয়ে কটিয়াদী উপজেলাধীন স্বনির্ভর বাজারে মাছের আড়তে নিয়ে আসে।
সূত্র জানান, মাছের মালিক আবু তাহের অন্য একটি গাড়িতে উঠে এসে স্বনির্ভর বাজারে তাদেরকে দেখতে পেয়ে দ্রুত কটিয়াদী মডেল থানায় এসে একটি মৌখিক অভিযোগ দিনে। তাৎক্ষণিক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মফিজুর রহমান সুমনকে আটক করলেও তার সহযোগীরা মাছের গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কটিয়াদী থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেনকে অবহিত করেন। বাজিতপুর থানার ওসি মুরাদ হোসেন এসআই শ্যামল দেবনাথকে পাঠিয়ে কটিয়াদী থানায় আটক মফিজুর রহমান সুমনকে বাজিতপুর থানায় নিয়ে যান।
মাছ চাষী আবু তাহের জানান, আমার বিশ ড্রাম ভর্তি পাঙ্গাশ মাছের গাড়িটি জোর করে সাবেক এমপির ছেলে সুমন ও তার সহযোগীরা নিয়ে যায়। কটিয়াদী থানা পুলিশ সুমনকে আটক করলেও আমি মাছ ফেরত পায়নি। সুমন সহ দুইজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, মাছের গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগে কটিয়াদী থানায় আটক মফিজুর রহমান সুমনকে বাজিতপুর থানায় নিয়ে এসেছি। মাছ চাষী আবু তাহের বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। আটককৃত মফিজুর রহমান সুমনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।