মঙ্গলবার , ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে অভিনব কৌশলে চলছে চাঁদাবাজি, ব্যবসায়ীরা বিপাকে

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

যশোরের অভয়নগরে বন্ধ হচ্ছে না চাঁদাবাজি। বিভিন্ন অজুহাতে দিতে হচ্ছে চাঁদা। কৌশল পাল্টে চাঁদাবাজি করায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। যে কারণে চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার করাটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। চাঁদা আদায় বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও নওয়াপাড়া পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইল ফোনে, মৌখিকভাবে, ডাকযোগে চিঠি বা দাওয়াতপত্রসহ বিভিন্ন কৌশলে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। যে কারণে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাড়ি থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নওয়াপাড়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দুই যুগ ধরে তারা ওষুধ ব্যবসা করছেন। কোনো দিন চাঁদা দিতে হয়নি। কিন্তু ২০২৪ সালের ১০ আগস্টের পর তাদেরকের চাঁদা দিতে হচ্ছে। চাঁদাবাজরা বিভিন্ন সময় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা বলে দোকানে দাওয়াতপত্র দিচ্ছে। দু একদিন পর ৮-১০ জনের একটি দল দাওয়াতপত্রের অজুহাতে টাকা নিতে আসছে। টাকা না দিতে চাইলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকি দিচ্ছে। অনেকে আবার পিকনিকের কথা বলেও টাকা আদায় করছে। আদায়ের সময় রাজনৈতিক দলের পাতি নেতাদের নামও ব্যবহার করছে তারা। সম্প্রতি এক দাওয়াতপত্রের ঠিকানা অনুযায়ী সেই ক্লাবের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে, তাই বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের নামে টাকা আদায়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ছোট দোকান, কেনাবেচা নেই বললেই চলে। এরমধ্যে এক শ্রেণির যুবক তাদের পাড়ায় অনুষ্ঠানের কথা বলে চাঁদা দাবি করে। না দিতে চাইলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা। প্রায় ৩ দিন হয়েছে দোকান বন্ধ রেখে বাড়িতে বসে আছি। নওয়াপাড়া বাজার কমিটির সাবেক এক নেতা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভয়নগরের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে কোনো বাজার কমিটি নেই। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজরা সক্রিয়। তাই চাঁদাবাজ ধরতে শুধু প্রশাসন নয় ব্যবসায়ীদেরও ভূমিকা থাকতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, ‘চাঁদাবাজ ধরতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।