পাবনার চাটমোহর উপজেলায় সম্প্রতি উদ্ধারকৃত একটি প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিষ্ণু মূর্তিটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বগুড়া আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক এ,কে,এম, সাইফুর রহমানের নিকট হস্তান্তর করেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের পুঠিয়া রাজবাড়ীর এসিসট্যান্ড কাস্টোডিয়ান মোঃ হাফিজুর রহমান, হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান, এসআই সনজিত কর্মকার, এ এসআই আনোয়ার হোসেন, পুকুর মালিক লোকমান হোসেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
পুঠিয়া রাজবাড়ীর এসিসট্যান্ড কাস্টোডিয়ান মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, এ বিষ্ণু মূর্তিটি দৈর্ঘ্য ২৬.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ ১২.৫ ইঞ্চি। মূর্তিটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বগুড়া আঞ্চলিক অফিসে সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে পাবনায় তাড়াশ ভবনে যাদুঘরে স্থানান্তর ও স্থায়ী সংরক্ষণ করা হবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, আনুমানিক দেড় হাজার বছরের পুরনো বিষ্ণুমূর্তি। এটি পাল বা সেন যুগের হতে পারে। মূর্তিটি কালো পাথরে খোদাই করা এবং এতে বিষ্ণু দেবতার নিখুঁত চিত্রাঙ্কন রয়েছে। চাটমোহরের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কিত গবেষণায় এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সহায়তা ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলকার লোকমান হোসেনের পুকুরে মাছ ধরার সময় এই বিষ্ণুমূর্তি পাওয়া যায়। খবর পেয়ে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আতিকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করেন।