মঙ্গলবার , ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চাটমোহরের মামাখালী গ্রামের মানুষ এখনো কাঁদায় বন্দি!

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫

স্বাধীনতার ৫৫ বছর পার হলেও পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার একটি গ্রামে এখনো পা ফেলতে হয় কাদা-পানির সড়কে। উপজেলার ছাইকোলা ও নিমাইচড়া দুই ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত বনমালী নগর নামের গ্রামটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত মামাখালী নামে। গ্রামজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সবই রয়েছে। নেই শুধু একটি পাকা রাস্তা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মামাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা সড়কটি প্রতি বছর বর্ষায় তলিয়ে যায়। তখন প্রায় তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত গ্রামের মানুষ কার্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটায়। শুধু যানবাহন নয়, হেঁটে চলাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। স্কুলগামী শিশুরা প্রতিদিন ভিজে যায়, হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় কাদায় বইপত্র নষ্ট হয়। গ্রামটির একাংশ ছাইকোলা ইউনিয়নের অধীনে, আরেক অংশ নিমাইচড়া ইউনিয়নে পড়ায় উন্নয়ন উদ্যোগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে পুরো এলাকাটি থেকে যায় সুবিধাবঞ্চিত। এলাকাবাসীর দাবি, মামাখালী পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি প্রথমে উঁচু করে তারপর পাকা করা হোক। এটিই তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা এবং দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।

স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুল হাকিম বলেন, “এতদিন হইল স্বাধীনতা হইছে, কিন্তু রাস্তা পাকা হয় নাই। কাদায় গরু চলে না, মানুষ চলবে কীভাবে? বর্ষায় তো আমরা ঘরবন্দি হইয়া থাকি।”

গৃহবধূ সাবিনা খাতুন বলেন, “আমার ছোট ছেলে স্কুলে পড়ে। প্রতিদিন বই খাতা ভিজে যায়। কখনো কাদায় পড়ে যায়, তখন খুব কষ্ট লাগে। আমরা কি এই কষ্ট নিয়েই বাঁচবো?”

স্থানীয় বাসিন্দা আছান দর্জি বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় সবাই আসে রাস্তা পাকাবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। কিন্তু ভোট শেষ হলে আর কেউ ফিরে তাকায় না।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা জয়দার আলী বলেন, বর্ষাকালে রাস্তা এমন পিচ্ছিল আর কাদা হয় যে, মুসুল্লিরা সময়মতো নামাজেও আসতে পারে না। গ্রামের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ হলেও কাঁচা রাস্তায় কেউ নামাজে যেতে পারে না, এটা খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। টেকনিক্যাল টিমসহ সরেজমিন যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।