সোমবার , ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - বর্ষাকাল || ১২ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে লাইসেন্স বিহীন ও তদারকির অভাবে মুরগী ফার্মের ছড়াছড়ি, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

যশোরের অভয়নগরে পরিবেশ ও প্রাণী সম্পদ থেকে লাইসেন্স না নিয়ে জন বসতি এলাকায় মুরগি খামার এলাকায় লোকজন বায়ুবাহিত রোগ এ আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এবং পাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে ভুমিকা দেখতে চায় সাধারণ জনগণ। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন ও কোটা গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে পল্টি মুরগীর ফার্ম। যা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স বিহীন ও তদারকির অভাবে হুমকির মুখে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ থেকে মুরগীর ফার্মের লাইসেন্স না করে ওইসব ফার্মের মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স করে ফার্ম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুরগী চাষ করার কোন অনুমতির দরকার পড়েনা বা নিয়ম নেই। তারপরও ওইসব মুরগী চাষিরা ট্রেড লাইসেন্সের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ হিসাবে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নিতে গেলে ওই সব অবৈধ ফার্ম মালিকদের মানতে হয় অনেক শর্ত যে কারনে ওইসব শর্তপুরণের তোয়াক্কা না করে অবৈধ পন্থায় মুরগী ফার্ম তৈরি করে হুমকিতে ফেলছে জনস্বাস্থ্য।

উপজেলার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, ওইসব জনবসতি এলাকায় পল্টি মুরগীর ফার্মের দূর্গন্ধে এলাকায় টিকে থাকা যায়না। কর্তৃপক্ষের উচিৎ ওইসব লাইসেন্স বিহীন জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে মুরগীর ফার্মগুলো সরিয়ে অন্য ফাঁকা স্থানে নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করা। উপজেলার ভাটপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন নামে একজন বলেন, বাড়ির পাশে মুরগীর ফার্ম হওয়ায় দিনরাত কোন সময় অস্বাভাবিক দুর্গন্ধের কারণে আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিছু বললেই ফার্ম মালিক তেড়ে আসে মারপিট করতে। ভয়ে নিরব থেকে সবকিছু মেনে নিয়ে চলতে হয়। কোটা গ্রামের আবুল হোসেন নামের একজন বলেন, জনবসতি আমাদের এই এলাকায় বাড়ির সাথে বাড়ি মিশানো এর মধ্যে ওই পল্টি মুরগীর ফার্মের কারণে দূর্গন্ধে টিকতে পারিনা। ফার্ম সরিয়ে মুরগী চাষের কথা বললে ফার্ম মালিক কোন কথা শুনেনা। এবিষয়ে এলাকায় অনেকবার বসাবসি করে সমাধান করার চেষ্টা করেও কোন সমাধান হয়নি। উপজেলায় এমন শত-শত মানুষের বোবা কান্নার মধ্যেও পল্টি মুরগী চাষিরা অনিয়মতান্ত্রীক ভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পল্টি মুরগীর ফার্ম করে মুরগী চাষে রয়েছে বহালতবিয়তে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুজার সিদ্দিক বলেন, লাইসেন্স যারা করে তাদের আমরা তদরকী করি, কিন্তু লাইসেন্স বিহীন মুরগীর ফার্মের হিসাব আমাদের কাছে নেই। আবাসিক এলাকায় যদি মুরগীর ফার্ম কেউ করে তবে আমরা চেষ্টা করি ফার্ম গুলো সরিয়ে ফেলতে। মুরগী ফার্ম নীতিমালা অনুযায়ী যদি ফার্ম করার পদক্ষেপ নেওয়া হয় তবে দেশে পল্টি ফার্মই থাকেনা। আবাসিক এলাকায় ফার্ম করার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।