রবিবার , ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাঁচ দশক পেরিয়েও সেতু হয়নি, বাঁশের নড়বড়ে সাঁকোই ভরসা

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর-মির্জাপুর নদীঘাটে নির্মিত হয়নি একটি সেতু। ফলে বছরের পর বছর ধরে করতোয়া নদীর ওপর বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো কিংবা খেয়া নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন অন্তত ১৪টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, বর্ষার প্রায় সাত থেকে আট মাস এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে হয় খেয়া নৌকায়। আর শুকনো মৌসুমে নদীর ওপর অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে তার ওপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় শিশু, বৃদ্ধ, রোগী, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের। এখানকার মানুষদের জন্য নদী পারাপারে কোনো স্থায়ী সেতু না থাকাটা যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঁশের সাঁকোটি একবারে সরু, পুরনো এবং নড়বড়ে। সামান্য ভারসাম্য হারালেই নদীতে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। বিশেষ করে বৃষ্টি, কুয়াশা বা অন্ধকারে এই সাঁকো পার হওয়াটা অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।

নদীর পশ্চিম পাড়ের বহরমপুর, মামাখালী, বিন্যাবাড়ি, গৌড়নগর, করকোলা, বরদানগর, চিনাভাতকুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং পূর্ব পাড়ের মির্জাপুর, নিমাইচড়া, গৌড়িপুর, যেখানে রয়েছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ, উচ্চবিদ্যালয়, মাদরাসা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ব্যাংক এবং মির্জাপুর হাট। এই সব স্থানে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন হাজারো মানুষ। বর্ষাকালে নৌকা না চললে অনেক সময় রোগীকে নদীর পাশেই আটকে থাকতে হয়। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বিপজ্জনক সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম কিংবা জরুরি সেবা গুলোও ব্যাহত হয় এই সেতুর অভাবে।

মামাখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, বর্ষায় নদী ভরা থাকলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় পার হতে হয়। খেয়া নৌকার জন্য কখনো কখনো ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। আর শীতকালে যখন সাঁকো বানানো হয়, তখন সেটা এতটাই দুর্বল থাকে যে ভয়ে ভয়ে পার হতে হয়। অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী নারী কিংবা শিশুদের নিয়ে পার হওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাড়ায়।

বহরমপুর গ্রামের আজমত আলী বলেন, করতোয়া নদীর ওপর সেতু না থাকায় প্রতিদিন কষ্ট করে পারাপার হতে হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ, কলেজ, ভূমি অফিস কিংবা হাটবাজারে যেতে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। এমনকি অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস মিস করে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক।

এলাকাবাসীর দাবি, একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে এখনও যদি বাঁশের সাঁকোই যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়, তাহলে তা শুধু হতাশা জনক নয়, চরম অবহেলার বহি:প্রকাশ। তারা দ্রুত বহরমপুর-মির্জাপুর নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করে স্বাভাবিক যাতায়াত ও উন্নয়নের পথ সুগম করার জোর দাবি জানান।

নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেন জানিয়েছেন, দ্রুত খোঁজ নিয়ে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্রুত সেতু নির্মিত হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।