আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ
কবি কায়কোবাদ আযান সম্পর্কে হৃদয় জুড়ানো কবিতায় বলেছেন-‘কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি, মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর, আকুল হইল প্রাণ নাচিল ধ্বমনি, কি মধুর আযানের ধ্বনি।’ দুনিয়ার কাজে ব্যস্ততম মানুষ সব কাজকর্ম বন্ধ করে আযানের টানে মসজিদের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেয়। ওযুর মাধ্যমে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ধুলো-ময়লা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে পাক পবিত্র জামা-কাপড় পরে মহান আল্লাহর ঘরে হাজিরী প্রদান করে। মসজিদের মাধ্যমেই দূর হয় রং, গোত্র, ধনী-নির্ধন, আমিত্ব, অহমিকা আর সম্পদের প্রাচুর্যের অহংকার। এ ধর্মীয় ও মানবিক মুল্যবোধকে ধারন ও লালন করতেই গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর প্রত্যন্ত পল্লীতে একটি মসজিদের অজু খানা নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। পলাশবাড়ী উপজেলার তরুন সমাজ সেবক ও উপজেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম ইসলাম তিতাস ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হাবিবুর রহমান হাবিবের ব্যাক্তিগত অর্থায়নে হোসেনপুর ইউনিয়নের সাইনদহ জামে মসজিদের অজুখানা নির্মান কাজ শুরু করা হয় ৷
গত ১৪ আগস্ট শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজীদ কমিটির সকল সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য মুরব্বীগণদের সাথে নিয়ে ওযুখানা’র ভিত্তিপ্রস্তরের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনকালে সমাজসেবক তিতাস বলেন- যুগে যুগে মসজিদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ইসলামী সভ্যতা, মানবতা আর ভ্রাতৃত্ববোধ। প্রতি শুক্রবার মসজিদ সমূহে অনুষ্ঠিত হয় মুসল্লিদের এক মহা সম্মেলন। মসজিদের খতিব সাহেবগণ সমাগত মুসল্লিগণের উদ্দেশ্যে সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ, ধর্ষণ এবং হত্যাসহ যে সকল কুসংস্কার মানুষ ও সমাজকে ধ্বংসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করে সে সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ নছিয়ত পেশ করে থাকেন।
এ সকল নছিয়তকে পুঁজি করে মানুষ সংশোধন করে নেয় তার মূল্যবান চরিত্রকে। ভুলে যায় হিংসা, হানা-হানি, মানুষগুলো হয়ে যায় খোদার রাহে আত্মত্যাগী আর পরোপকারী। এসময় মসজিদ পরিচালনা কমিটি সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ সরকারসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ছাড়াও অত্র এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।