বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আটঘরিয়ার উত্তরচক গ্রামে চলাচলের পথে জোরপূর্বক কাঁটাতারের বেড়া, ভোগান্তিতে বেশ কিছু পরিবার

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
রাস্তার মাঝে জোরপূর্বক কাঁটাতারের বেড়া  দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আটঘরিয়া পৌর সভার উত্তরচক গ্রামের প্রভাবশালী কুদ্দুস ও আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এতে ওই গ্রামের প্রায় ২০-২৫টি পরিবারের লোকজনকে পথচলতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন প্রতিকার চেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক, আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আটঘরিয়া অফিসার ইনচার্জ ওসি সহ বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ করছেন।
জানা যায়, আটঘরিয়া পৌরসভার ৫,৬ ওযার্ডের উত্তরচক গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় ওই গ্রামের জমির মালিক প্রভাবশালী মৃত আব্বাস
খাঁ ছেলে আব্দুল কুদ্দুস খাঁ, ও আব্দুল্লাহ ছেলে আজিজুল হক দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছরের চলাচলের রাস্তা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সর্বসাধারণসহ  পথ বন্ধ করে দেয়। এতে ওই পাড়ার প্রাায় ২০-২৫টি পরিবারের লোকজনের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
ওই গ্রামের ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছি।
কুদ্দুস ও আজিজুল কয়েক দিন আগে আমাদের সকলের একমাত্র চলাচলের রাস্তা কাঁটাতার দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয়। এদিকে একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ করায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে বসবাস করছি।
অনতিবিলম্বে বন্ধ করা রাস্তার কাঁটাতারের বেড়া অপসারণ করে স্বাভাবিক চলাচলের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
সাবেক কাউন্সিল ফরহাদ হোসেন চঞ্চল বলেন, হঠাৎ করে এই সকল পরিবারের চলাচলের  রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যালয়ে ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত চরম ভোগান্তিতে পড়েছে । এই রাস্তা দিয়ে মাঠের উৎপাদিত ফসল আনা নেয়া হয়। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই ওই পাড়ার  মানুষ  বন্দিজীবন যাপন করছে। আমি আশা করি উপজেলা  নির্বাহী অফিসার অবরুদ্ধ পরিবারের লোকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্রুত কাঁটাতারের বেড়া অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
উত্তরচক গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল মজিদ খা বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকার অন্তত শতাধিক  অবরুদ্ধ পরিবার অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। দ্রুত বন্ধ রাস্তাটি অপসারণের জোর দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, থানা থেকে পুলিশ এসে  সরেজমিনে তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাই নিরুপায় হয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে অবরুদ্ধ এসকল পরিবার গুলো।
ভুক্তভোগী অবরুদ্ধ পরিবারের বাদশা, কৃষ্ণ কুমার, বিঞ্চ দাস, রাজু, রাজ্জাক সুমি, বাচ্চু অনেকই বলেন, আমরাও চলাচল করতে পারছিনা। আমাদের শিশুরা স্কুলে যাবার পথ কাঁটাতার দিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের চলার রাস্তা খুলে দেয়ার জোর দাবি জানান।
তারা আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কুদ্দুস ও আজিজুল  রাস্তা বন্ধ করে দিয়েও আমাদের সকলকে হুমকি দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগে পেয়েছি। আমরা উভয় পক্ষকেই ডেকেছি। আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি মিমাংশা করার জন্য। তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।