শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অভয়নগরে সিন্ডিকেটের কবলে চালের বাজার

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

যশোরের অভয়নগরে অসাধু সিন্ডিকেটের কবলে চালের বাজার। বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং না থাকায় লাগামহীনভাবে বাড়ছে এই নিত্য পণ্যটির দাম। কোনও কারণ ছাড়াই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে চালের দাম। চালের দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষ চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এর আগে সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় বাজার মনিটরিং করা জরুরি কিন্তু চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে তা দেখা যাচ্ছে না।  গত ১০-১৫ দিন ধরেই মোটা-চিকনসহ সব ধরনের চালের দাম বাড়ছে লাগামহীনভাবে। কী কারণে চালের দাম বাড়ছে, তার কোনও উত্তর দিতে পারেনি চালের খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম বেড়েছে। নওয়াপাড়ার অসাধু কিছু ব্যবসায়ী চাল মজুদ করে বাজারে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। আর এতে করে সিন্ডিকেটের কাছে চলে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। তবে সচেতন মহল মনে করে এসবের জন্য দায়ী উপজেলা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা। অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন চালের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আর গুটি, স্বর্ণাসহ প্রায় সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা, পারিজা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঊনত্রিশ ও আটাশ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মিনিকেট, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা এবং বাসমতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর যারা পোলাওয়ের চাল নিতে চান, তাদের প্রতি কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। নওয়াপাড়া বাজারের চাল ব্যবসায়ী রহিম হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে আমাদের ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে হয়। কারণ, পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন হিসাব করলে আমাদের তেমন একটা থাকে না। এর মধ্যেই আমাদের ব্যবসা করতে হয়। তিনি আরও বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি কম বাড়লেও খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর দায়ভার চাপে পাইকারি ব্যবসায়ীদের উপর। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে। তা না হলে বাজারে দীর্ঘ মেয়াদে এর প্রভাব পড়বে। নওয়াপাড়া বাজারে কথা হয় চাল ক্রেতা বেসরকরী একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে। তিনি জানান, সরকার বলছে, পর্যাপ্ত চালের মজুদ আছে। তাহলে কয়েক মাস থেকে চালের বাজার অস্থির কেন? তিনি চালের বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান। উপজেলা চেঙ্গুটিয়া বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম, গোপাল দাস ও গৌতম চক্রবর্তী জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে চালের দাম বেড়েছে, যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজারটাকে জিম্মি করে রাখে। তারা চাল মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারলে বাজার কোনওভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং টিম সব সময় চাল মজুরদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মজুদারেরা চাল মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।