বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পানি নিষ্কাষনের রাস্তা বন্ধ সলঙ্গায় জলাবদ্ধতায় কৃষককুল দিশেহারা

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননে শত শত একর ফসলী জমি জলাবদ্ধ অবস্থায় পানির নিচে ডুবে আছে।ভুমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালার তোয়াক্কা না করে উর্বর দো-ফসলী জমিতে যত্রতত্র পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় পতিত আছে কৃষকের এ সব জমি।এ সমস্যার জরুরি সমাধান না হলে কৃষকের পেটে ভাত জুটবে না। তাই বাঁচতে চায় এ এলাকার ভুক্তভোগী কৃষককুল। ইতিমধ্যেই প্রতিকার চেয়ে ৫/৬ টি গ্রামের কয়েকশত ভুক্তভোগী কৃষকদের স্বাক্ষরিত দরখাস্থ ইউএনও, উল্লাপাড়াসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে দাখিল করেছেন।পানি নিষ্কাষনের রাস্তা বন্ধ করে এলাকার প্রভাবশালী মহল কয়েকটি গ্রামে শতাধীক পুকুর খনন করেছে।জলাবদ্ধতায় আবাদী জমিগুলো বছরের ৭/৮ মাস পানিতে ডুবে থাকে।এ কারনে রোপা ধান,সরিষা আবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা।সলঙ্গা থানার পশ্চিম এলাকা আগরপুর,খোর্দ্দসিমলা, কালিকাপুর,মমরইল, আমশড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের কৃষি জমিতে গিয়ে দেখা গেছে এমন করুণ দৃশ্য।কয়েকটি গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠের শত শত একর কৃষি জমিতে শুধুই আগাছা,কচুরি আর ঘাসে ভরে গেছে।পানিতে নিমজ্জিত আছে এসব জমি। সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের জীবনমান চরম বিপর্যয়ের সন্মুখীন বলে দেখা গেছে।ধান উৎপাদন আগের চেয়ে কমে গেছে।খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে।ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান,এ এলাকার জমিগুলোর মাটি ছিল উর্বর।বছরে ২/৩ টি ফসল চাষ করা যেত।এক শ্রেণীর প্রভাবশালী, ভুমিদস্যুরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে আর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে পানি পানি নিষ্কাষনের পথ বন্ধ করে এভাবে শতশত পুকুর খনন করায় এমন দুর্যোগ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।ভাদ্র মাসে যে এলাকার জমিতে পানি থাকতো না। সেখানে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসেও জমিতে পানি আটকে আছে।শুধু বোরো মৌসুমে একটা ফসলের আবাদ হয়।পানি নামতে দেরি হওয়ায় সে বোরো আবাদও ফলন ভালো হয় না। অভিযোগকারীদের একজন হাবীবুর রহমান জানান,আগে বন্যার পর এসব জমিতে সরিষা চাষ হত।সর্বনাশা পুকুর খননের পর হতে এখন সব জমি বিল হয়ে গেছে।উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন,এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগটি বিএডিসি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে অবশ্যই কৃষকের দুর্ভোগের বিষয়টি দেখা হবে।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক পানি নিষ্কাষনের আশু ব্যবস্থা না করলে এ এলাকার কৃষকদের আর্থিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে অচল হয়ে পড়বে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।