বুধবার , ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সরকারী নিয়ম মেনেই চলছে তাড়াশ দলিল লেখকদের কার্যক্রম

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ দলিল লেখকদের কোন সিন্ডিকেট নেই। ভুমি রেজিস্ট্রেশন চলছে সরকারী নিয়ম-নীতি মেনেই। অর্ধ-শতাধিক দলিল গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দলিল গ্রহীতারা জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আ’লীগ সরকারের পতনের পর তাড়াশ দলিল লেখকদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গেছে। সরকার নির্ধারিত ফি, ভ্যাট, ট্যাক্স ও দলিল লিখনী খরচ ছাড়া তাদের নিকট থেকে কোন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে না। উক্ত অফিসে দলিল লেখকদের কোন সিন্ডিকেটের সন্ধান মেলেনি। চলছে সরকারী নিয়মনীতি মেনেই।

গত ১৩ নভেম্বর সপ্তাহের কার্যদিবসে তাড়াশ সাব-রেজিস্টার অফিসে গেলে দলিল গ্রহীতা নজরুল ইসলাম, নাজিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, নিজাম উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক দলিল গ্রহীতা জানান, আমরা জমি কিনে এ সপ্তাহে রেজিস্ট্রী করেছি। কিন্ত কোন দলিল লেখক আমাদের নিকট থেকে কোন অতিরিক্ত ফি নেননি।

এদিকে একজন অর্থলোভী হলুদ সাংবাদিক পালিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক দলের সমর্থক ব্যাক্তিগত সুবিধা না পেয়ে দলিল লেখকদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অসত্য তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করে দলিল লেখকদের সুনাম নষ্ট করছেন, এমনটি জানিয়েছেন একাধিক দলিল লেখক।

এ ব্যাপারে তাড়াশ দলিল লেখক সমিতির সদস্য সচিব শাহাদত হোসেন বলেন, সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন হলে তাড়াশের দলিল লেখকদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যায়। তখন সকল দলিল লেখকদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটি সরকারের নিয়মনীতি মেনেই ভুমির রেজিস্ট্রশন কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত ৬ নভেম্বর গোলাম মোস্তফা নামক একজন কথিত সাংবাদিক অফিস চলাকালীন সময়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে আমাদের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। আমরা যেহেতু নিয়মের মধ্যে চলছি, তাই আমরা তাঁকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করি। এতে তিনি দলিল লেখকদের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে জনশূণ্য হাস্যকর মানববন্ধন করে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

তাড়াশ দলিল লেখক সমিতির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করেছি। স্ব-স্ব দলিল লেখকগণ তাদের লিখিত দলিলের সরকারী ফি এবং লিখনি নিজেরাই আদায় করে থাকেন। এখানে আহবায়ক ও সদস্য সচিবের কোন কর্তৃত্ব নেই। আর দানপত্র কিংবা অন্য কোন দলিলে অতিরিক্ত ফি নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মূলতঃ আহবায়ক-সদস্য সচিবের রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় তাদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এবং আমাদের নিকট থেকে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ওই হলুদ সাংবাদিক এমনটি করেছেন।
চাঁদাদাবী প্রসঙ্গে গোলাম মোস্তফার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ সাব-রেজিস্টার আব্দুর রহমান বলেন, কোন দলিল গ্রহীতা ভুমি রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি নেওয়ার ব্যাপারে আমার নিকট কোন অভিযোগ করেননি। এমনকি মৌখিক ভাবেও কোন দলিল গ্রহীতা বেশি নেওয়ার বিষয়টি বলেননি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে শুধু এক ব্যাক্তি ভুমি রেজিস্ট্রশন ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি, কোন দলিল লেখক ভুমি রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।