শনিবার , ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২২শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১৪ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

লামায় কথিত ডিপোতে জোতের আড়ালে বাইরের কাঠ মজুদ ও পাচার 

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
পাহাড়ি জেলা বান্দরবানের লামা রেঞ্জের আওতাধীন ১ কাঠের  কথিত ডিপোতে জোতের বাইরের অবৈধ কাঠ মজুদ ও পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার ও রবিবার ( ২৬ ও ২৭ অক্টোবর) লামা সুয়ালক সড়কের আন্তঃ সংযোগ সড়কে বমু বিলছড়ি পশ্চিম পাড়া মুছার ডিপো নামে পরিচিত ডিপোতে রেজাউল করিম (বাবু সওঃ) এর  নামে অপকর্মেরএ চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ছবি উঠে এসেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, যে কোন গাছের ডিপোর করতে হলে কতগুলো নিয়ম-কানুন থাকলেও এগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে রেজাউল করিম ( প্রকাশ বাবু সওদাগর) এ অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক জোতের মালমাল অন্য ডিপোতে নেওয়ার অনুমতি নেই।। সে প্রতিদিনে রাতে রুপসী পাড়া, লামা সদর,গজালিয়ার ইউনিয়ন, বমু রিজার্ভ ও  পৌর এলাকা হতে জীব গাড়ি, ভ্যান গাড়ি,টমটম, টেলাগাড়ির মাধ্যমে বর্ণিত ডিপোতে অনলোড লোড করে। পরে ড্রেসিং করে বড় বড় ট্রাকভর্তি গাড়িতে করে বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে ঢাকা শহরে পাচার করে। এমনকি তার বাড়ি বমু পানিস্যাবিলেও সরকারি বন রিজার্ভ এর অধা কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবৈধ গাছ মজুদ করে পাচার করছে প্রতিনিয়ত। আথচ দুই কিলোমিটার মধ্যে কোন গাছের স্টক বা ডিপো স্থাপন করতে পারবে না।
এই মুসা ও বাবু গং অসাধু চক্র গত দুই /তিন বছর ধরে পাহাড়ি এলাকা গজালিয়া -বাইশ পাড়ি,চিন্তাবর পাড়া, আটমাইল, বড় পাড়া,কুলাইক্ক্যা পাড়া,লুলাইং মৌজার পাহাড়ের  হাজার হাজার একর লোপাট,  বনসম্পদ ধ্বংস করে পরিবেশ, প্রতিবেশের বারোটা বেজেছে। যে কারনে পাহাড়গুলোতে বৃক্ষশূন্যে পরিণত হয়েছে।
এখানে এ সমস্ত কাজে কিছু কতিপয় অসাধু ব্যক্তিকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে বহাল তবিয়তেই এ সব  অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য,লামা বনবিভাগের অধীনে আলোচিত সমালোচিত তৈং রেজ্ঞ এর সরকারি বন অঞ্চলের গাছ সরকারি লোক ও অসাধু চক্রের হাতে লোপাট হওয়ায় বেশ কিছুদিন কিছু লোকের চাকুরিচ্যুত ও জোটপারমিট বন্ধ ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে খোলার পর লামায়ও বনখেকোর একটি চক্র ফের গাছ মজুদ ও পাচাররে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এর অংশ হিসেবে  বাবুলু ও মুছা গং বর্ণিত এক পাশে বাড়ির ভিতরে ডিপোতে বিভিন্ন জায়গায় গাছ মজুদ ও ৩/৪ টি বড় গাড়ি পাচারে সময় সাংবাদিকরা দেখে ফেললে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অবহিত করলে তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন। তারা রাতেও গজালিয়া জীব স্টেশন এর স,মিল হতে ট্রাক গাড়ি লোট করে পাচার করতে দেখা যায়। সেখানে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ফুট বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় গাছ বেচাকেনার মহোৎসব ও পাচার চলছে। মূলত ২০২০-২১ সালের বাবুলুর গজালিয়া ইউনিয়নের বড় জোটপারমিট ছিল। এখন সেখানে এটির কোন অস্তিত্ব নেই। ডিপোতে কোন নাম্বার সাইনবোর্ড নাই।
এখন সে মানুষকে বলে বেড়াচ্ছে সাংবাদিকরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি কেন। আমরা ম্যানেজ করতাম।
এদিকে মোঃ মুছা থেকে ডিপো কোন বৈধ কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাইলে বলে আমাদের কাছে কোন কাগজপত্র নাই। সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে জিজ্ঞেস করেন। আর বাবলু ভাই আমার সাথে শেয়ারে ব্যবসা করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বাবু সওদাগর বলেন, সাংবাদিকরা আমার সাথে যোগাযোগ না করে অফিসে ফোন দিয়েছে কেন। তারা আমাকে কেউ কিছুই করতে পারবে না।
আরও রুপসী পাড়ার ও লামা পৌর এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান ও আমিন জানান, গাছ বন্ধের সময় বড় বড় কড়ই গাছ ও সেগুন গুলো বাবলু ভাইদের বিক্রয় করতে এখানে এনে রেখেছি।
এদিকে লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতাএলাহী বলেন, এ ডিপোটির বৈধ কাগজ পত্র আছে। তবে সেখানে জোতের বাইরের গাছ মজুদ আছে কি না জানা নেই।
এ ব্যাপারে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক বেলাল বলেন, জোতের বাইরের কাঠ ডিপোতে রাখার অনুমতি নেই। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে আইনগত পদক্ষেপ নেবো’।

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ রফিকুল ইসলাম রনি-০১৭১৩-৫৮২৪০৬, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী-০১৭৫১-১৫৫৪৫৫, বার্তা সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম আপন-০১৭৪০-৩২১৬৮১। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ মেছের উদ্দিন সুপার মার্কেট ভবন, হান্ডিয়াল বাজার, চাটমোহর, পাবনা থেকে প্রকাশিত। ঢাকা অফিসঃ তুষারধারা, আর/এ, সেক্টর ১১, রোড নং ০৭, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২। বার্তা কার্যালয়ঃ অষ্টমনিষা বাজার, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। প্রকাশক কর্তৃক সজল আর্ট প্রেস, রূপকথা গলি, পাবনা থেকে মুদ্রিত। মোবাইল নম্বর-০১৭৪৯-০২২৯২২,ই-মেইল- newscbalo@gmail.com / editorcbalo@gmail.com / www.chalonbileralo.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ ©2017-2025 (এটি গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ) অনলাইন নিবন্ধন আবেদনকৃত। আবেদন নম্বর- ২১৮৮।